ফ্লেয়ার গান দিয়ে নিজের বাড়িতেই আগুন লাগিয়ে দিলেন গৃহকর্তা। ছবি: সংগৃহীত।
পুলিশ গিয়েছিল তল্লাশির ফরমান হাতে নিয়ে। কিন্তু সেই খবর পেয়েই গৃহকর্তা ঘরের মধ্যেই চালিয়ে দিলেন ‘ফ্লেয়ার গান’। বিস্ফোরণের পর উড়ে গেল গোটা বাড়িই। সেই ভয়ঙ্কর দৃশ্য ধরা পড়েছে ক্যামেরায়। যেখানে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে,কী ভাবে এক লহমায় চুরমার হয়ে ছাই হয়ে গেল আস্ত একটি ডুপ্লে। সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে আমেরিকার ভার্জিনিয়া প্রদেশে।
ভার্জিনিয়ার আর্লিংটন। সোমবার সন্ধ্যায় আর্লিংটনের পুলিশ বিভাগ জানায়, তারা উত্তর বার্লিংটন স্ট্রিটে একটি বাড়িতে তল্লাশি চালাতে যাচ্ছেন। সেই খবর শোনা মাত্র, ওই বাড়িটির কর্তা এই কাণ্ড ঘটান বলে জানা যাচ্ছে। বিস্ফোরণের পর পুলিশ এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে থাকার কথা জানিয়ে প্রচার করছে। জানা গিয়েছে, স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ পুলিশ ওই বাড়ির দোরগোড়ায় পৌঁছয়। ঠিক তখনই বিস্ফোরণের বিকট শব্দ শুনতে পায় গোটা পাড়া। আগুনের হলকায় পুড়ে খাক হয়ে যায় ডুপ্লে।
জানা যাচ্ছে, গৃহকর্তা পুলিশ আসার খবর পেয়ে নিজের বাড়ির মধ্যেই বারকতক ফ্লেয়ার গান চালিয়ে দেন। তাতে কার্যত বিস্ফোরণের পরিণতি হয়। গোটা বাড়িটি যেন মুহূর্তে পুড়ে খাক হয়ে যায়। ফ্লেয়ার গান সাধারণত বিপদ সঙ্কেত দিতে ব্যবহার হয়। এই ধরনের বন্দুক থেকে গুলির বদলে বের হয় আগুনের হলকা। যা আশপাশের যে কোনও কিছু পুড়িয়ে দিতে সক্ষম। ঘরের মধ্যেই কয়েক বার ফ্লেয়ার গান চালানোর জেরে গোটা বাড়িতে আগুন ধরে যায়।
ওই পাড়ারই এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, ডুপ্লেটি লাগোয়া আরও একটি হুবহু একই রকম দেখতে বাড়ি ছিল। সম্ভবত সেটিও পুড়ে গিয়েছে। তবে, বিস্ফোরণের আগেই বাড়িটি খালি করে দেওয়া হয়েছিল। পুলিশের তৎপরতায় প্রাণহানি এড়ানো গিয়েছে। তা করতে গিয়ে অল্পবিস্তর আহত হয়েছেন কয়েক জন পুলিশকর্মীও। যদিও কাউকেই হাসপাতালে পাঠাতে হয়নি।
ঠিক কী কারণে ওই ব্যক্তি পুলিশি তল্লাশির খবর পেয়ে এই কাণ্ড বাধালেন। তাঁর লুকনোর কী ছিল? প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে পুলিশ।