কলকাতা ডার্বিতে আবার ইস্টবেঙ্গলকে হারাল মোহনবাগান, কী কী হল ম্যাচে?
যুবভারতী নয়, গুয়াহাটিতে আইএসএলের ফিরতি পর্বে মুখোমুখি হয়েছিল মোহনবাগান এবং ইস্টবেঙ্গল। সেই ম্যাচ জিতল মোহনবাগান।
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
জেমি ম্যাকলারেনকে (মাঝে) নিয়ে উচ্ছ্বাস সতীর্থদের। ছবি: সমাজমাধ্যম।
মূল ঘটনা
জিতল মোহনবাগান
টানা দশটি কলকাতা ডার্বিতে অপরাজিত থাকল মোহনবাগান। ন’টিই জিতেছে তারা। একটি ড্র। জেমি ম্যাকলারেনের একমাত্র গোল জেতাল মোহনবাগানকে।
৭৮ মিনিট। নেমেই স্টুয়ার্টের পাস
কিছু ক্ষণ আগে মাঠে নেমেছেন স্টুয়ার্ট। এর মধ্যেই বেশ কয়েকটি ভাল পাস বাড়িয়েছেন। একটি থেকে গোল হতে পারত। তবে লিস্টনের শট বাঁচান প্রভসুখন।
৬৭ মিনিট। প্রভসুখনের ভাল সেভ
ডান দিক থেকে আশিসের শট বাঁচিয়ে দিলেন প্রভসুখন। না হলে আরও একটি গোল খেতে পারত ইস্টবেঙ্গল।
৬৩ মিনিট। লাল কার্ড শৌভিককে
দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখলেন শৌভিক। লিস্টনের গোলমুখী আক্রমণের সময় বাধা দিয়েছিলেন তিনি। রেফারি আর একটি হলুদ কার্ড এবং লাল কার্ড দেখিয়ে বার করে দিলেন শৌভিককে।
৬০ মিনিট। আবার মন্থর ফুটবল
প্রথম কয়েক মিনিটে মোহনবাগানের যে আগ্রাসী ফুটবল দেখা গিয়েছিল তা উধাও। এখন তারা নিজেদের মধ্যে পাস খেলে উঠতে চাইছে। খুব একটা সফল হচ্ছে না। খেলা ঘোরাফেরা করছে মাঝমাঠেই।
৪৬ মিনিট। ক্লেটনের মিস্
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই সমতা ফেরানোর সুযোগ পেয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। বক্সের মধ্যে বল পেয়ে গেলেও বাইরে মারলেন ক্লেটন।
বিরতি। পেনাল্টি দেওয়া হল না ইস্টবেঙ্গলকে
প্রথমার্ধের সংযুক্তি সময়ে নিশ্চিত পেনাল্টি থেকে বঞ্চিত ইস্টবেঙ্গল। বক্সের মধ্যে বিষ্ণুর শট লাগল আপুইয়ার বাঁ হাতে। ইস্টবেঙ্গল প্লেয়ারদের আবেদনে কর্ণপাত করলেন না রেফারি। ন্যায্য পেনাল্টি পেল না ইস্টবেঙ্গল।
৩৬ মিনিট। উত্তপ্ত ডার্বি
ডার্বি হঠাৎই উত্তপ্ত। মাঠের মাঝে বচসায় জড়ালেন ম্যাকলারেন এবং শৌভিক। শৌভিকের কনুই অসাবধানে লেগেছে ম্যাকলারেনের। অসি স্ট্রাইকার প্রতিবাদ করায় বিবাদ শুরু। দু’পক্ষের বাকি ফুটবলারেরা ঝামেলা মেটালেন।
২৯ মিনিট। মন্থর খেলা দুই দলের
দু’দলের আক্রমণ থেকে খেলার গতি হঠাৎই কমে গেল। দুই দলই মন্থর ফুটবল খেলছে।
২১ মিনিট। মনবীরের অবিশ্বাস্য মিস্
কামিংস থেকে ম্যাকলারেন হয়ে বল পেয়েছিলেন মনবীর। সামনে একা গোলকিপার ছিলেন। অবিশ্বাস্য ভাবে প্রভসুখনের হাতে বল জমা করলেন মনবীর। প্রশংসা প্রাপ্য প্রভসুখনেরও। অনুমানক্ষমতা কাজে লাগিয়ে গোল বাঁচালেন তিনি।
১৭ মিনিট
পাল্টা আক্রমণের আপ্রাণ চেষ্টা করছে ইস্টবেঙ্গল। খুব একটা সফল হতে পারছে না। মোহনবাগানও আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে।
১৩ মিনিট। চাপে ইস্টবেঙ্গল
খেলার শুরু থেকেই দাপট দেখাচ্ছে মোহনবাগান। এক গোলে এগিয়ে থাকলেও আক্রমণের রাস্তা থেকে সরে আসছে না তারা।
১২ মিনিট। কর্নার দিলেন না রেফারি
ম্যাকলারেনের শট নুঙ্গার পিঠে লেগে ফিরলেও কর্নার দিলেন না রেফারি। ভুল সিদ্ধান্ত লাইন্সম্যানের।
৭ মিনিট। ক্লেটনের সুযোগ নষ্ট
বিষ্ণুর তৈরি করা বলে সুযোগ পেয়েছিলেন ক্লেটন। তিনি একা পেয়ে গিয়েছিলেন বিশালকে। তবে শট নেওয়ার আগেই তা ক্লিয়ার করে দিলেন অলড্রেড।
২ মিনিট। গো-ও-ও-ও-ও-ও-ও-ও-ল
দ্বিতীয় মিনিটেই এগিয়ে গেল মোহনবাগান। গোল করলেন জেমি ম্যাকলারেন। ফিরতি ডার্বিতেও গোল করলেন তিনি। ডান দিক থেকে আশিস রাইয়ের ক্রসে পা ছোঁয়াতে পারলেন না হিজাজি মাহের। সেই বল পেয়ে ম্যাকলারেন অনায়াসে কাটিয়ে নিলেন হেক্টর ইয়ুস্তেকে। প্রভসুখনকে কাটিয়ে গোল করলেন তিনি।
ইস্টবেঙ্গলের প্রথম একাদশ
প্রভসুখন সিংহ (গোলরক্ষক), হেক্টর ইয়ুস্তে, হিজাজি মাহের, লালচুংনুঙ্গা, নিশু কুমার, শৌভিক চক্রবর্তী, জিকসন সিংহ, পিভি বিষ্ণু, ক্লেটন সিলভা (অধিনায়ক), দিমিত্রিয়স দিয়ামানতাকোস, ডেভিড লালানসাঙ্গা।
মোহনবাগানের প্রথন একাদশ
বিশাল কাইথ (গোলরক্ষক), টম অলড্রেড, আলবের্তো রদ্রিগেস, শুভাশিস বসু (অধিনায়ক), আশিস রাই, সাহাল আব্দুল সামাদ, লিস্টন কোলাসো, মনবীর সিংহ, আপুইয়া, জেমি ম্যাকলারেন, জেসন কামিংস।