প্রতীকী চিত্র।
প্রেমিকার বদলে পরীক্ষার হলে ঢুকলেন প্রেমিক। পরীক্ষকের চোখে ধুলো দিয়ে পরীক্ষাও দিলেন। মেয়েলি পোশাকের ছদ্মবেশে থাকায় প্রথম দিকে নজরে পড়েননি। পরিচয় ফাঁস হল তিন দিন পর। ততদিনে প্রেমিকার নামে তিনটি পরীক্ষা দেওয়া হয়ে গিয়েছে ছদ্মবেশী প্রেমিকের। কেন এমন করলেন? প্রশ্ন করা হলে তিনি পুলিশকে জানান, প্রেমিকার প্রতি সীমাহীন ভালবাসাই এমন সিদ্ধান্তের কারণ।
ঘটনাটি সেনেগালের। গ্রেফতার হওয়া যুবকের নাম খাদিম এমবুপ। তিনি গ্যাস্টন বার্জার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। বয়স ২২। পরীক্ষার হলে যখন তিনি ধরা পড়েন, তখন তাঁর পরনে মেয়েদের পোশাক তো ছিলই। তার সঙ্গে মুখে মেয়েদের মেক আপও ছিল। মাথা ঢাকা ছিল স্কার্ফে। এমনকি পোশাকের নীচে মেয়েদের অন্তর্বাসও পরেছিলেন এমবুপ। পুলিশকে ওই যুবক জানিয়েছেন, তাঁর ১৯ বছরের প্রেমিকা গাঙ্গু ডিওম ভয় পেয়েছিলেন, পরীক্ষায় বসলে পাশ করতে পারবেন না। তাই প্রেমিকাকে পাশ করাতেই মহিলা সেজে পরীক্ষার হলে হাজির হন ওই যুবক। যদিও পর পর তিন দিন পরীক্ষককে ফাঁকি দিলেও চতুর্থ দিনে ধরা পড়ে যান।
এই ঘটনায় ওই ছদ্মবেশী প্রেমিক এবং তাঁর প্রেমিকা দু’জনকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আদালতে তাঁদের অপরাধ প্রমাণ হলে আগামী পাঁচ বছর কোনও পরীক্ষায় বসতে পারবেন না দু’জনেই। যা দু’জনেরই শিক্ষা জীবনে প্রভাব ফেলতে পারে। এতটা ঝুঁকি নিয়ে এই কাজ করা কি ঠিক হয়েছে? প্রশ্ন করা হয়েছিল প্রেমিককে। জবাবে তিনি বলেছেন, ‘‘প্রেমিকার প্রতি ভালবাসা থেকেই এই কাজ করেছি।’’