ব্রাজিলের প্রায়া গ্রান্ডের বাসিন্দা ফারো। নিজের শরীরে নিয়ে নানা রকম পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাতেই তাঁর আনন্দ। তাই ট্যাটু থেকে শুরু করে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে অস্ত্রোপচার করিয়েছেন তিনি।
কান কেটে বাদ দেওয়ার পর মাইকেল ফারো (বাঁ দিকে)। অদ্ভুতদর্শনের জন্য ‘হিউম্যন সেটান’ নামে পরিচিত তিনি। ছবি সৌজন্য ইনস্টাগ্রাম।
কোভিডের সংক্রমণ কমতে শুরু করায় বহু দেশে আর বাধ্যতামূলক নয় মাস্ক পরা। দু’বছর ধরে মাস্ক পরার পর তা থেকে মুক্তি পাওয়ার আনন্দে তাই নিজের কানই কেটে ফেললেন ব্রাজিলের এক ব্যক্তি। সুতরাং কানও থাকল না, মাস্ক পরার ঝামেলাও থাকল না!
মাইকেল ফারো। তিনি ‘হিউম্যান সেটান’ নামেই বেশি জনপ্রিয় চেহারার জন্য। মাথা, মুখ এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে অস্ত্রোপচার করিয়ে ভয়ানক চেহারা তৈরি করেছেন। তাঁর এই অদ্ভুতদর্শন চেহারার জন্য ফারোকে ‘শয়তানের’ সঙ্গে তুলনা করা হয়।
তাঁর দেহের অস্ত্রোপচারের নবতম সংযোজন কান। মাস্কের ঝামেলা হঠাতে নিজের দু’টি কানই অস্ত্রোপচার করে বাদ দিয়ে দেন ফারো। ইনস্টাগ্রামে অস্ত্রোপচারের পরের ছবি শেয়ার করেছেন তিনি।
ব্রাজিলের প্রায়া গ্রান্ডের বাসিন্দা ফারো। নিজের শরীরে নিয়ে নানা রকম পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাতেই তাঁর আনন্দ। তাই ট্যাটু থেকে শুরু করে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে অস্ত্রোপচার করিয়েছেন তিনি। নিজেকে ‘দৈত্য’র মতো দেখাতে শরীরে ষাটটিরও বেশি অস্ত্রোপচার করিয়েছেন। দেহের ৮৫ শতাংশ অংশই ট্যাটু করা। নিজের চেহারা পরিবর্তনই তাঁর নেশা। সেই নেশাতেই ঘন ঘন অস্ত্রোপচারের সাহায্যে নিজের রূপ বদলান ফারো। মাথায় সিং লাগানো, নাক কেটে ফেলা, হিংস্র প্রাণীর মতো দাঁত তৈরি করা— কোনও কিছুই বাদ দেননি তিনি।
এ বার আরও এক ধাপ এগিয়ে নিজের কান কেটে ফেলার সিদ্ধান্ত নেন ফারো। তা-ও কিনা মাস্কের ঝামেলা থেকে মুক্তি পেতে! আগেই ফারো জানিয়েছিলেন, যে দিন থেকে মাস্ক পরা আর বাধত্যামূলক থাকবে না, তার পরই তিনি নিজের কান কেটে সেই পরিস্থিতির উদ্যাপন করবেন