Nonuplets

ধরা পড়েনি আল্ট্রাসাউন্ডেও, ডাক্তারদের অবাক করে একসঙ্গে ৯ সুস্থ সন্তান প্রসব মহিলার

প্রায় ২২ বছর আগে শেষ বার এমন ঘটনা সামেন এসেছিল। সে বার যদিও শিশুগুলি বাঁচেনি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

বামাকো শেষ আপডেট: ০৫ মে ২০২১ ১০:০২
Share:

মরক্কোর হাসপাতালে চিকিৎসকদের সঙ্গে হালিমা। ছবি: টুইটার থেকে সংগৃহীত।

অতিমারিতে বিধ্বস্ত চারিদিক। মৃত্যুমিছিল বন্ধ হওয়ার নাম নেই। এমন পরিস্থিতিতে একসঙ্গে ৯টি নতুন প্রাণকে পৃথিবীর আলো দেখালেন এক মহিলা। একটা নয়, দু’টো নয়, তিনটে বা চারটে নয়, একসঙ্গে ৯ সন্তানের জন্ম দিলেন তিনি, যা কিনা চিকিৎসকদেরও চিন্তাভাবনার বাইরে ছিল।

Advertisement

পশ্চিম আফ্রিকার অন্তর্গত মালি-তে এমনই অবাক-কাণ্ড ঘটেছে। সেখানকার বাসিন্দা ২৫ বছর বয়সি হালিমা সিসে মঙ্গলবার একসঙ্গে ৯ সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ফ্যান্টা সিবি জানিয়েছেন, ৫ কন্যা এবং ৪ পুত্রের জন্ম দিয়েছেন হালিমা। মা এবং তাঁর সন্তানরা সুস্থ রয়েছেন।

হালিমার এই গর্ভাবস্থা নিয়ে বিগত কয়েক মাস ধরেই চর্চা চলছিল। গর্ভবতী হওয়ার পর যখন চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে যান হালিমা, তখন আল্ট্রাসাউন্ডে ৭ সন্তানের অস্তিত্ব ধরা পড়ে। পরে সেখান থেকে মরক্কোয় তাঁকে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। সেখানেও আল্ট্রাসাউন্ডে ৭ শিশুর অস্তিত্বই ধরা পড়ে।

Advertisement

চিকিৎসার জন্য মার্চ থেকে মরক্কোতেই রয়েছেন হালিমা। স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে অস্ত্রোপচার করেই তাঁর প্রসবের সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা। সেই মতো হাসপাতালের প্রসব বিভাগে ভর্তি করানো হয় তাঁকে। সেখানেই একে একে ৯টি সন্তান প্রসব করেন তিনি।

একসঙ্গে ৩টি বা ৪টি সন্তান প্রসবের উদাহরণ রয়েছে প্রচুর। তবে একসঙ্গে ৯টি সন্তান প্রসবের তেমন নজির না থাকলেও, এই ঘটনা একেবারেই বিরল নয়। ১৯৭১ সালে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে এক মহিলা একসঙ্গে ৯ সন্তানের জন্ম দেন। কিন্তু জন্মের পর ছ’দিনের মধ্যেই একে একে সকলের মৃত্যু হয়।

তারও আগে, ১৯৯৯ সালে মালয়েশিয়ার এক মহিলা ৯ সন্তানের জন্ম দেন। কিন্তু জন্মের ছ’ঘণ্টার মধ্যেই সকলের মৃত্যু হয়। চিকিৎসকদের মতে, মানব শরীর একসঙ্গে এত সন্তান প্রসবের জন্য উপযুক্ত নয়। যে কারণে ন’মাস জরায়ুতে থাকলেও ওই সমস্ত শিশুর সম্পূর্ণ বৃদ্ধি হয় না। সেই কারণে বেশির ভাগ সময়ে জরায়ুতেই মৃত্যু হয় তাদের। অনেকে আবার জন্মের পরই মারা যায়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement