মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু। —ফাইল চিত্র।
চিনের সঙ্গে প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে সম্প্রতি। এ বার পশ্চিম এশিয়ার এক দেশের থেকে প্রতিরক্ষা বিষয়ক ‘অস্ত্র’ কিনল মলদ্বীপ। দেশটির সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, তুরস্কের কাছ থেকে ড্রোন কিনেছেন মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু। ওই ড্রোন দ্বীপরাষ্ট্রের আশপাশের সমুদ্রের উপর নজরদারি চালাবে। তবে এই বিষয়ে মলদ্বীপ বা তুরস্কের তরফে এখনও আনুষ্ঠানিক ভাবে কিছু জানানো হয়নি।
সূত্রের খবর, আগামী সপ্তাহ থেকেই ড্রোনের দ্বারা সমুদ্রে নজরদারি শুরু করে দেবে মলদ্বীপ। মুইজ্জু ক্ষমতায় আসার আগে নির্বাচনী প্রচারের সময়ে সমুদ্রে নজরদারিতে জোর দিয়েছিলেন। ড্রোন ব্যবহার করে নজরদারির প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন। সেই প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী তিনি কাজ শুরু করেছেন বলে মত বিশেষজ্ঞদের। ক্ষমতায় আসার পর চিনের পাশাপাশি মুইজ্জু তুরস্ক সফরেও গিয়েছিলেন। সেখানেই ড্রোন কেনার বিষয়ে তাঁর সঙ্গে তুরস্ক প্রধানের আলোচনা হয়ে থাকতে পারে।
মলদ্বীপের সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, তুরস্কের একটি সংস্থার সঙ্গে ড্রোন কেনার বিষয়ে চুক্তি হয়েছে। ৩ মার্চ সেই ড্রোন মলদ্বীপে পৌঁছেও গিয়েছে। বর্তমানে সেগুলি রাখা হয়েছে মাফারু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে।
মুইজ্জু কট্টর চিনপন্থী শাসক হিসাবে পরিচিত। নির্বাচনের প্রচারেও ভারত বিরোধিতা করেছিলেন তিনি। তাঁর ক্ষমতায় আসার পর ভারতের সঙ্গে মলদ্বীপের সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে অবমাননামূলক মন্তব্যের অভিযোগ উঠেছে মুইজ্জু সরকারের তিন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে। যার ফলে ভারতের পর্যটকেরা মলদ্বীপ বয়কটের ডাকও দিয়েছেন। ভারতকে মলদ্বীপ থেকে সেনা সরিয়ে নিতেও বলেছেন মুইজ্জু। এই পরিস্থিতিতে বিদেশি শক্তিগুলির সঙ্গে তিনি ঘনিষ্ঠতা বাড়িয়ে চলেছেন।