— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
অশান্তির আবহে এ বার মণিপুর সরকার জানাল, এখনই স্কুল-কলেজ খুলছে না রাজ্যে। এর আগে সরকারি নির্দেশে বলা হয়েছিল, সোমবার থেকেই রাজ্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে পঠনপাঠন স্বাভাবিক হতে পারে। কিন্তু ওই নির্দেশ প্রত্যাহার করে রবিবার রাতেই নয়া নির্দেশিকা জারি করে সরকার। তাতেই বলা হয়েছে, আপাতত বুধবারের আগে স্কুল-কলেজ খুলছে না মণিপুরে। রাজ্যের ন’টি জেলায় বৃদ্ধি করা হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার মেয়াদও।
রাজ্য সরকারের তরফে নির্দেশিকাটি জারি করেছেন শিক্ষা দফতরের (স্কুল) নির্দেশক এল নন্দকুমার। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামী ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত রাজ্যের সমস্ত সরকারি এবং বেসরকারি স্কুল বন্ধ রাখা হবে। পাশাপাশি, মণিপুরের ন’টি জেলায় মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার মেয়াদ আরও দু’দিনের জন্য বৃদ্ধি করা হয়েছে। গত ১৬ নভেম্বর থেকেই মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ রয়েছে ওই জেলাগুলিতে। রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখতে ইম্ফল পূর্ব, ইম্ফল পশ্চিম, কাকচিং, বিষ্ণুপুর, থৌবল, চূড়াচাঁদপুর, জিরিবাম, ফেরজ়ওল এবং কাংপোকপি জেলায় আগামী বুধবার পর্যন্ত বন্ধ রাখা হবে মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা।
সম্প্রতি মণিপুরের জিরিবামে কুকি জঙ্গি এবং সিআরপিএফ জওয়ানদের মধ্যে গুলি বিনিময়ের পর নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সে রাজ্যের পরিস্থিতি। সেই আবহেই দুই দফায় ছ’জনের দেহ উদ্ধার হয়। দেহ উদ্ধারের পর থেকে নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায় মণিপুরে। বিচার চেয়ে এবং অভিযুক্তদের শাস্তির দাবি জানিয়ে ইম্ফলের রাস্তায় বিক্ষোভ শুরু হয়। রাজ্যের বেশ কয়েক জন বিধায়কের বাড়িতে হামলা চালায় উত্তেজিত জনতা। সেই ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে গত দু’দিনে নতুন করে সাত জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত সেপ্টেম্বর মাস থেকেই মণিপুরে মেইতেই ও কুকি জনগোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষে পরিস্থিতি আবার উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। দফায় দফায় সংঘর্ষ চলছে মণিপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে। বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালিয়ে প্রচুর গোলাবারুদ ও আগ্নেয়াস্ত্র বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ এবং আধাসেনার যৌথ বাহিনী। তবে গত ১৯ নভেম্বর পরিস্থিতি সামান্য নিয়ন্ত্রণে আসায় মণিপুরের পাঁচ জেলায় কার্ফু আংশিক শিথিল করা হয়। চালু করা হয় ব্রডব্র্যান্ড ইন্টারনেট পরিষেবা। কিন্তু মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা আপাতত বন্ধই রয়েছে।