মহম্মদ মুইজ্জু (বাঁ দিকে) এবং মলদ্বীপের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মহম্মদ সোলি। —ফাইল চিত্র
মলদ্বীপের পার্লামেন্ট নির্বাচনে ছায়া ফেলছে ভারতের সঙ্গে সে দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিষয়টিই। রবিবার মলদ্বীপের প্রায় তিন লক্ষ বাসিন্দা ভোটের লাইনে দাঁড়াবেন। এই নির্বাচনে লড়াই হবে মূলত দেশের বর্তমান প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জুর দল পিপল্স ন্যাশনাল কংগ্রেস (পিএনসি)-এর সঙ্গে প্রধান বিরোধী দল মলদ্বীভিয়ান ডেমোক্রেটিক পার্টি (এমডিপি)-র।
মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট শাসিত শাসনব্যবস্থায় পার্লামেন্ট নির্বাচনেরও বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। গত সেপ্টেম্বরেই সে দেশের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মহম্মদ সোলিকে হারিয়ে জয়ী হয়েছিলেন মুইজ্জু। কিন্তু পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রাখে সোলির দল এমডিপি। ফলে পার্লামেন্টের ‘বাধায়’ বহু সিদ্ধান্তই কার্যকর করতে পারেনি মুইজ্জুর সরকার। তাই এই ভোটে জিতে তারা মলদ্বীপের পার্লামেন্টেও নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা বজায় রাখতে চাইছে।
তবে মুইজ্জুর দলের লোকেরাই জানাচ্ছেন যে, এই নির্বাচনে মূল বিষয় হতে চলেছে ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং তার মোকাবিলায় মুইজ্জু সরকারের অবস্থান। আরও স্পষ্ট করে বললে, মুইজ্জুর ‘ভারত বিরোধী অবস্থান’ এবং ‘চিন ঘেঁষা নীতি’ মলদ্বীপের মানুষ কতটা ভাল ভাবে নিচ্ছে, তার ইঙ্গিত পাওয়া যাবে ভোটবাক্সে। মুইজ্জু ক্ষমতায় আসার পর ভারত মহাসাগরীয় এই দ্বীপরাষ্ট্রটি থেকে ধাপে ধাপে ভারতীয় সেনাদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। মুইজ্জুর মন্ত্রীরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করে বিতর্কেও জড়িয়েছেন।
ইতিমধ্যেই দেশের বিরোধী দলগুলি ভারতের সঙ্গে মলদ্বীপের পুরনো সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে মুইজ্জু সরকারের ভারত বিরোধী অবস্থানের বিরোধিতা করেছে। তবে সে দেশের রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ মনে করছেন, কোনও দলই পার্লামেন্টে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার মতো জায়গায় নেই। তবে তারই মধ্যে মুইজ্জুর দল যদি বিরোধী দলগুলির তুলনায় কম আসন পায়, তবে প্রেসিডেন্ট বড় ধাক্কা খাবেন বলেই মনে করা হচ্ছে।