মালওয়ির ভাইস প্রেসিডেন্ট সলস চিলিমা। — ফাইল চিত্র।
ফিরল ইরান প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রইসির কপ্টারকাণ্ডের স্মৃতি। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মালওয়ির ভাইস প্রেসিডেন্ট সলস চিলিমার মৃত্যু হল কপ্টার দুর্ঘটনায়। সে দেশের প্রেসিডেন্ট লাজ়ারুস চাকওয়েরা জানিয়েছেন, চিলিমা যে বিমানে সওয়ার হয়েছিলেন, তা জঙ্গলে ভেঙে পড়েছিল। সেই বিমানের কেউ বেঁচে নেই। লাজ়ারুস জানান, ভেঙে পড়া বিমানটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
সোমবার স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় মালওয়ির রাজধানী লিলঙ্গে থেকে ৩৭০ কিলোমিটার দূরের শহর এমজ়ুজুর উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন সে দেশের ভাইস প্রেসিডেন্ট। সে দেশের বিমানবাহিনীর বিমানটিতে মোট ১০ জন ছিলেন। চিলিমা ছাড়াও ওই বিমানে ছিলেন মালওয়ির প্রাক্তন ফার্স্ট লেডি শানিল ডিজ়িমবিরি। দুর্ঘটনায় সকলেরই মৃত্যু হয়েছে।
বিমানটি খারাপ আবহাওয়ার কারণে এমজ়ুজু শহরে অবতরণ করতে পারেনি। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ বিমানটিকে ফিরে যাওয়ার বার্তা পাঠান। কিন্তু তার পর হঠাৎই এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলের (এটিসি) সঙ্গে বিমানটির যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তার পরই বিমানটির খোঁজ শুরু হয়।
দক্ষিণ এমজ়ুজু শহরে এক জঙ্গলে বিমানটি ভেঙে পড়েছে বলে আশঙ্কা করা হয়। তল্লাশি অভিযান চালাতে অন্যান্য দেশের সাহায্য চাওয়া হয় লাজ়ারুস সরকারের তরফে। এ ব্যাপারে সে দেশের প্রেসিডেন্ট জানিয়েছিলেন, আমেরিকা, ব্রিটেন, নরওয়ে এবং ইজ়রায়েলের মতো দেশগুলি বিপদে সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছে। যৌথ অভিযান চালিয়ে জঙ্গলের মধ্যে থেকে ভাঙা বিমানের অংশ উদ্ধার করে উদ্ধারকারী দল।
সম্প্রতি ইরানের আজ়ারবাইজান সীমান্ত লাগোয়া পার্বত্য অঞ্চলে চপার ভেঙে মৃত্যু হয় সে দেশের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রইসির। মারা যান চপারে রইসির সহযাত্রী তথা সে দেশের বিদেশমন্ত্রী হোসেন আমিরাবদোল্লাহিয়ানও। সেই ঘটনাতেও খলনায়ক ছিল খারাপ আবহাওয়া এবং কম দৃশ্যমানতা। মালওয়ির ভাইস প্রেসিডেন্টের মৃত্যুও ঘটল একই ভাবে।