হিজাব বিতর্ক নিয়ে মুখ খুললেন মালালা ইউসুফজাই। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
হিজাব বিতর্ক নিয়ে এ বার হলেন নোবেলজয়ী মালালা ইউসুফজাই। ঘটনাটিকে তিনি ‘ভয়ানক’ বলেও উল্লেখ করেছেন।
এ বিষয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে টুইটারে মালালা লিখেছেন, ‘হিজাব পরে মেয়েদের স্কুলে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। এটা ভয়ঙ্কর ঘটনা।’ এর পরই ভারতের রাজনীতিকদের উদ্দেশে তাঁর বার্তা, ‘মুসলিম মহিলাদের কোণঠাসা করার চেষ্টা এ বার বন্ধ করুন আপনারা।’
এই প্রথম নয়। এর আগে কৃষি আইন নিয়ে সরব হয়েছিলেন মালালা। কৃষকদের সমর্থনে মোদী সরকারের কাছে কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছিলেন। হিজাব নিয়ে একটি সংবাদ নেটমাধ্যমে প্রকাশ করে সেই বিষয়ে মুখ খুলেছেন মালালা।
হিজাব বিতর্কের আঁচ ইতিমধ্যেই কর্নাটকের গণ্ডি ছাড়িয়ে মধ্যপ্রদেশ এবং পুদুচেরিতে পৌঁছে গিয়েছে। বিতর্ক তো থামছেই না বরং আরও ক্ষোভের আঁচ বাড়ছে কর্নাটক জুড়ে। রাজ্যে শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছে কর্নাটক হাই কোর্ট। হিজাব কেন পরতে দেওয়া হবে না তা নিয়ে প্রতিবাদা জানিয়ে হাই কোর্টে একটি মামলা দায়ের করেছেন মুসলিম পড়ুয়ারা। আদালতের কাছে তাঁরা আর্জি জানিয়েছেন হিজাব পরাকে মৌলিক অধিকার হিসেবে ঘোষণা করার নির্দেশ দেওয়ার জন্য।
দক্ষিণের এই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভের আঁচ ছড়িয়ে পড়েছে। পরিস্থিতি যাতে আরও খারাপ না হয় তাই দেবাঙ্গিরি, শিমোগা, বাগালকোটের মতো উত্তেজনাপ্রবণ এলাকাগুলিতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। হিজাব বিতর্কের জেরে যে ভাবে রাজ্যে উত্তেজনা বাড়ছে, তা বিবেচনা করে তিন দিনের জন্য সমস্ত স্কুল, কলেজ বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই।
স্কুলে কি হিজাব পরে আসা যায়? এই নিয়ে বিতর্কে মেতে উঠেছে দক্ষিণের এই রাজ্য। বিতর্কের সূত্রপাত, গত মাসে কর্নাটকের উদুপির একটি কলেজে হিজাব পরিহিত পড়ুয়াদের ক্লাস করতে না দেওয়ার অভিযোগকে কেন্দ্র করে। কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠন হিজাব বাতিলের দাবিতে পথে নামে। এই বিষয় নিয়ে ব্যাপক গোলমাল শুরু হয়েছে দক্ষিণের ওই রাজ্যে।