অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হয়েছিলেন গত বছরেই। ছবি সোশ্যাল মিডিয়া।
মেয়ে হয়ে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার ‘ধৃষ্টতা’ দেখানোয় তাঁর খুলিতে গুলি ভরে দিয়েছিল তালিবান। শুক্রবার সেই মাথাতেই উঠল ‘গ্র্যাজুয়েশন ক্যাপ’। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শন, রাজনীতি এবং অর্থনীতি বিষয়ে স্নাতক হয়েছিলেন গত বছর জুনে। কিন্তু কোভিড পরিস্থিতির জন্য ‘গ্র্যাজুয়েশন সেরিমনি’ স্থগিত ছিল। অবশেষে শুক্রবার আনুষ্ঠানিক ভাবে ‘স্নাতক’ হলেন বিশ্বের কনিষ্ঠতম নোবেলজয়ী মালালা ইউসুফজ়ায়ি।
‘গ্র্যাজুয়েশন সেরিমনি’ বা স্নাতক অনুষ্ঠান শেষে নিজের ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলে আর পাঁচটা ছাত্র-ছাত্রীর মতোই বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে দাঁড়িয়ে তোলা একাধিক ছবি পোস্ট করেছেন মালালা। প্রায় ছ’লক্ষ লাইক কুড়িয়েছে পোস্টটি। কমেন্ট সেকশন ভেসে গিয়েছে অভিনন্দন বার্তায়। কোনও ছবিতে মালালাকে দেখা গিয়েছে বাবা-মায়ের সঙ্গে। কোনওটাতে আবার সদ্য বিবাহিতা মালালার পাশে রয়েছেন তাঁর স্বামী আসের মালিক। স্ত্রীয়ের সাফল্য উদ্যাপনে টুইটারে ছবি পোস্ট করেছেন আসেরও। অনুষ্ঠানটি গত বছর মে মাসে হওয়ার কথা থাকলেও অতিমারির কারণে তা পিছিয়ে যায়।
তবে মালালা যে দিন আনুষ্ঠানিক ভাবে স্নাতক হয়ে পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানের মেয়েদের সামনে দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন, তার ঠিক কিছু দিন আগেই আফগান মেয়েদের জন্য শিক্ষালয়ের দরজা বন্ধ করার ফতোয়া জারি করেছে তালিবান। যাঁদের বিরুদ্ধে গলা চড়িয়ে রোষের শিকার হয়েছিলেন মালালাও। পাকিস্তানে মেয়েদের শিক্ষার অধিকার নিয়ে মুখ খুলে মাত্র ১৫ বছর বয়সি যে কিশোরীকে গুলি করে জব্দ করতে চেয়েছিল কট্টরপন্থী বন্দুকবাজেরা। যদিও মালালার কাছে যে তারা দশ গোলে হেরে গিয়েছে তা অবশ্য প্রমাণ দিচ্ছে মালালার এই ছবিগুলোই!