প্রতীকী ছবি।
প্রথম মাঙ্কিপক্স আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গেল চিনের মূল ভূখণ্ডে। চিনের পশ্চিম অংশের বড় শহর চংকিং-এর বাসিন্দা ওই ব্যক্তি সম্প্রতি বিদেশভ্রমণ সেরে দেশে ফিরেছিলেন। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের তরফে চংকিং স্বাস্থ্য প্রশাসনকে উদ্ধৃত করে জানানো হয়েছে, ওই ব্যক্তি কবে দেশে ফিরেছেন, সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই স্থানীয় প্রশাসনের কাছে। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের তরফে আরও জানানো হয়েছে, ওই ব্যক্তি বিমানবন্দরে নামার পরে তাঁকে বাধ্যতামূলক নিভৃতবাসে রাখা হয়। প্রসঙ্গত, কোভিড অতিমারি শুরু হওয়ার পর থেকেই চিন এই নিয়ম চালু রেখেছে। নিভৃতবাসে থাকার সময়েই ওই ব্যক্তির শরীরে মাঙ্কিপক্সের নানা উপসর্গ প্রকট হয়ে ওঠে। পরে পরীক্ষাতেও দেখা যায়, ওই ব্যক্তি মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হয়েছেন। পরীক্ষার ফলাফল সামনে আসার পরেই সে দেশে মাঙ্কিপক্সের চিকিৎসার জন্য নির্দিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
চংকিং স্বাস্থ্য প্রশাসনের তরফে একটি নির্দেশিকা জারি করে বলা হয়েছে, যে সব ব্যক্তি মাঙ্কিপক্স আক্রান্তের সংস্পর্শে এসেছিলেন, তাঁদের বিশেষ পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। শহরের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বলেন, “আক্রান্ত ব্যক্তি চংকিং-এ নামার পরেই দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হয়েছে। ওই ব্যক্তি শহরের অন্যত্র কোথাও যাননি।”
এর আগে হংকং-এর এক ব্যক্তি মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হয়েছিলেন। ৩০ বছরের ওই ব্যক্তি আমেরিকা, কানাডা ঘুরে ফিলিপিন্স হয়ে হংকং-এ ফিরেছিলেন। তবে চিনের মূল ভূখণ্ডে মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা এই প্রথম প্রকাশ্যে এল।