আমেরিকায় ৯/১১ হামলার অন্যতম চক্রী সে। মৃত্যুদণ্ড পেয়ে বর্তমানে কুখ্যাত গুয়ান্তানামো বে-এর জেলে বন্দি। আল কায়দার সদস্য, ৫৩ বছরের সেই খালিদ শেখ মহম্মদ এ বার তথ্য দিতে পারে বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী। তবে শর্ত একটাই, খালিদের মৃত্যুদণ্ড তুলে নিতে হবে।
২০০১ সালে নিউ ইয়র্কের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে বিমান নিয়ে হামলা চালিয়েছিল আল কায়দার জঙ্গিরা। অন্তত ৩ হাজার মানুষ নিহত হন। জখম হন আরও অনেকে। সেই দিনের বিস্ফোরণের বিষাক্ত ধোঁয়ায় আক্রান্ত বহু মানুষ আজও রোগে ভুগছেন। ওই হামলার পিছনে সৌদি আরবকে দায়ী করে বিরাট অঙ্কের ক্ষতিপূরণ চেয়ে ম্যানহাটনের এক আদালতে মামলা করেছিলেন ক্ষতিগ্রস্তেরা। যদিও সৌদি প্রশাসন সেই অভিযোগ মানেনি। আইনজীবীরা অবশ্য হাল ছাড়েননি। প্রমাণ জোগাড় করতে তাঁরা মরিয়া হয়ে খালিদ-সহ আমেরিকায় বন্দি পাঁচ চক্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। বেশ কয়েক বার কথা চালানোর পরে নিজের আইনজীবীর মারফত সাহায্য-প্রস্তাব দিয়েছে খালিদ। শুক্রবার ম্যানহাটনের আদালতে ক্ষতিগ্রস্তদের আইনজীবীরা একটি চিঠি জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে কোনও জবানবন্দি দেবে না খালিদ। তবে মৃত্যুদণ্ড রদ করা হলে সে তার সিদ্ধান্ত বদলাতে পারে।
২০০৩-এর ১ মার্চ পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডি থেকে খালিদকে গ্রেফতার করে পাক ও মার্কিন গোয়েন্দা বাহিনী। আফগানিস্তান ও পোল্যান্ডের বিভিন্ন বন্দিশালায় তাকে আটকে রেখে দীর্ঘদিন জেরা করা হয়। ২০০৬-এর ডিসেম্বরে খালিদকে কিউবা উপকূলের গুয়ান্তানামো বে-র বন্দিশালায় নিয়ে আসা হয়।