—ফাইল চিত্র।
বুথ-ফেরত সমীক্ষাতেই বিপুল জয়ের আভাস মিলেছিল। সেই পূর্বাভাসই সত্যি হল শ্রীলঙ্কার নির্বাচনী ফলপ্রকাশের পরে। দুই-তৃতীয়াংশ গরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতা দখল করলেন মাহিন্দা রাজাপক্ষের নেতৃত্বাধীন শ্রীলঙ্কা পড়ুজানা পার্টি (এসএলপিপি)। ২২৫ আসনের পার্লামেন্টে একক ভাবে ১৪৫টি আসন দখল করেছে এসএলপিপি। সঙ্গে শরিকদের আরও পাঁচ আসন যোগ করলে ১৫০ ছুঁয়ে ফেলছে এসএলপিপি।
ইতিমধ্যেই জয়ী এসএলপিপি-কে সরকার গড়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে। কয়েক দিনের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন মাহিন্দা। তাঁর প্রধান প্রতিপক্ষ রনিল বিক্রমসিঙ্ঘ পর্যুদস্ত হয়েছেন নির্বাচনে। নিজের কেন্দ্রে তো জয় মেলেইনি, তাঁর দল ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টি (ইউএনপি) সর্বসাকুল্যে পেয়েছে একটি আসন।
গত নভেম্বরে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন মাহিন্দা। যদিও প্রয়োজনীয় সংখ্যা ছিল না তাঁর দলের। তা সত্ত্বেও মাহিন্দাকে প্রধানমন্ত্রী করায় সাংবিধানিক সঙ্কট তৈরি হয়েছিল দেশে। এই নির্বাচনের মাধ্যমে সেই সঙ্কট কাটল।
গত কালই মাহিন্দাকে টেলিফোনে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী। পাল্টা টুইট করে মোদীকে ধন্যবাদ জানিয়ে, ভারত ও শ্রীলঙ্কার বন্ধুত্বের বার্তা দিয়েছেন তিনিও।
গত দু’দশক ধরেই শ্রীলঙ্কার রাজনীতিতে দাপট রয়েছে রাজাপক্ষে পরিবারের। রাজপক্ষের জমানায় দ্বীপরাষ্ট্রে গত কয়েক বছর ধরেই প্রভাব বাড়ছে চিনের। যা উদ্বেগে রেখেছে সাউথ ব্লককে। তা ছাড়া শ্রীলঙ্কায় বসবাসকারী তামিলদের নিয়েও সতর্ক দিল্লি। কারণ বিষয়টির সঙ্গে এ দেশের বিশেষত দক্ষিণ ভারতের একটা অংশের ঘনিষ্ঠ যোগ রয়েছে। তাই শ্রীলঙ্কার ভোট ভারত-চিন-সহ দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতিতে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।