ফাইল চিত্র
ম্যাগি, কিটক্যাট, নেসক্যাফে-সহ নানা পণ্য উৎপাদন করে বিশ্বের বৃহত্তম খাদ্যপণ্য প্রস্ততকারী সংস্থা নেসলে। যদিও তাদের খাদ্য পণ্যগুলি কতটা নিরাপদ স্বাস্থ্যের জন্য, এই প্রশ্ন অনেকদিন ধরেই ছিল। এ বার সেই প্রশ্নের উত্তর সামনে এল। খোদ নেসলেরই অভ্যন্তরীণ রিপোর্টে। নেসলের অভ্যন্তরীণ নথিতে স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে যে সংস্থার ৭০ শতাংশের বেশি খাবার ও পানীয় ‘স্বাস্থ্যকর’ বলতে যা বোঝায় সেই সংজ্ঞা পূরণ করে না। বিশ্বের বৃহত্তম খাদ্য সংস্থাটি স্বীকার করেছে যে যতই পরিবর্তন আনা হোক না কেন, তাদের কিছু খাদ্য পণ্য কখনই স্বাস্থ্যকর হবে না।
আমেরিকার ব্যবসায়িক দৈনিক ফিনান্সিয়াল টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, ২০২১ সালের শুরুর দিকে শীর্ষ আধিকারিকদের মধ্যে প্রচারিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল যে পোষ্যের খাবার ও বিশেষ পুষ্টিকর খাদ্য বাদে কেবলমাত্র ৩৭ শতাংশ পণ্য অস্ট্রেলিয়ার স্টার রেটিং সিস্টেমে ৩.৫ বা তার বেশি রেটিং অর্জন করেছে। রেটিং সিস্টেমটি ৫ স্টার স্কেলে খাবারের মান নির্ধারণ করে। আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীগুলির পণ্যের ক্ষেত্রে একে মানদণ্ড হিসাবে মানা হয়।
নেসলের সামগ্রিক খাবার ও পানীয়ের মধ্যে খাঁটি কফি ব্যতীত ৭০ শতাংশ পণ্য ও ৯০ শতাংশ পানীয় নির্দিষ্ট মানে পৌঁছতে ব্যর্থ হয়েছে। তবে জল ও দুগ্ধজাত পণ্যগুলি কিছুটা ভাল জায়গায় রয়েছে। জাতীয় পণ্যের নির্ধারিত মানের শর্ত ৮২ শতাংশ পূরণ করে জল। আর দুগ্ধ জাতীয় পণ্য পূরণ করে ৬০ শতাংশ শর্ত।
তবে এই বিশ্লেষণে পোষ্যের খাবার, কফি ও নবজাতকের খাবারকে বাদ দেওয়া হয়েছে। নেসলের মোট মুনাফার অর্ধেকের বেশিই আসে এই পণ্যগুলি থেকে। এই রিপোর্ট প্রকাশ হওয়ার পরই বিশ্বখ্যাত খাদ্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান নেসলে বিবৃতিতে জানিয়েছে যে পণ্যে পুষ্টি ও স্বাস্থ্য বিষয়ক কৌশলে পরিবর্তন আনার লক্ষ্যে তারা কাজ করছে। পণ্যগুলি মানুষের পুষ্টির চাহিদা মেটাতে সহায়তা করেছে কি না, তা নিশ্চিত করতে উদ্যোগী হয়েছে সংস্থাটি।