Explosion

কাবুলে বড় বিস্ফোরণ, বিদেশি ব্যবসায়ীদের অতিথিশালা থেকে নাগাড়ে গুলির শব্দ

বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া গিয়েছে আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের কেন্দ্রস্থল, শহর -এ-ন এলাকা থেকে। এই এলাকাটি কাবুলের মূল বাণিজ্যিক কেন্দ্র বলে পরিচিত।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

কাবুল শেষ আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২২ ১৬:৫২
Share:

কাবুলের কেন্দ্র শহর-এ-নওয়ে নিরাপত্তাবাহিনীর প্রহরা। ছবি: রয়টার্স

বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল কাবুল। প্রথমে বিকট একটি শব্দ। তার পরেই ভেসে আসতে শুরু করল নাগাড়ে গুলির আওয়াজ। সোমবার আফগান রাজধানী কাবুলের প্রাণকেন্দ্র থেকে আসা এই শব্দে আতঙ্ক ছড়িয়েছে গোটা শহরে। যদিও বিকেল সাড়ে চারটে পর্যন্ত জানা যায়নি কী ভাবে বিস্ফোরণ ঘটেছে বা কারা চালিয়েছে গুলি?

Advertisement

ভারতীয় সময় বিকেল চারটের আশপাশে ঘটনাটি ঘটেছে বলে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর। কাবুলের স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম জানাচ্ছে বিস্ফোরণের আওয়াজ আসে কাবুলের কেন্দ্র স্থল ‘শহর-এ-নও’-এর একটি হোটেল থেকে। তার পর সেখান থেকেই পাওয়া যায় গুলির শব্দও। এই ঘটনার কিছু ক্ষণ পরে ঘটনাস্থলের ভিডিয়ো ফুটেজে দেখা গিয়েছে ওই হোটেলের জানলা থেকে বেরিয়ে আসছে আগুনের লেলিহান শিখা। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যাচ্ছে এলাকা।

এই ঘটনায় আফগানিস্থানের জাতীয় নিরাপত্তাবাহিনীর তরফে কোনও বিবৃতি পাওয়া যায়নি। তবে টুইটার এবং বিভিন্ন স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ওই হোটেলের ভিতরে অন্তত ছ’জন সশস্ত্র ব্যক্তি রয়েছেন।

Advertisement

কাবুলের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, হোটেলটি বিদেশি পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয়। বিদেশিরা কাবুলে এলে রাজধানী শহরের প্রাণকেন্দ্রে থাকা ওই হোটেলটিকেই বেছে নেন। তবে এই হোটেলটি মূলত জনপ্রিয় চিনের সম্ভ্রান্ত পর্যটকদের মধ্যেই। সম্প্রতি চিন থেকে ব্যবসায়ীদের একটি দলও এসে থাকছিলেন ওই হোটেলেই।

ধারাবাহিক গুলির শব্দ এবং বিস্ফোরণের পর অবশ্য ওই হোটেলের পরিস্থিতি সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি। শুধু টুইটারে ভেসে ওঠা একটি ভিডিয়োয় হোটেলটির একটি ফ্লোরের জানলার ভিতর থেকে দাউ দাউ আগুন জ্বলতে দেখা গিয়েছে।

গত কয়েক মাস ধরেই কাবুলে একের পর এক বিস্ফারণের ঘটনা ঘটছে। যার প্রত্যেকটিরই নেপথ্যে রয়েছে আইএস জঙ্গিদের আফগানিস্তানের শাখা সংগঠন। তবে সোমবারের ঘটনা মনে করিয়ে দিচ্ছে কাবুল থেকে কয়েকশো মাইল দূরে মুম্বইয়ের তাজ হোটেলে ২৬/১১ হামলার ঘটনা। যদিও হোটেলের ভিতর সত্যিই সশস্ত্র হামলাকারীরা রয়েছে কি না তার খোঁজ শুরু করেছে আফগান নিরাপত্তাবাহিনী।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement