Sister Nivedita

Sister Nivedita: লন্ডনে নিবেদিতার মূর্তিতে ছাড়পত্র

আয়ারল্যান্ডের মেয়ে মার্গারেট নোবেলই আমাদের চিরপরিচিতা ভগিনী নিবেদিতা। দীর্ঘদিন উইম্বলডনের বাড়িতে মা ও বোনের সঙ্গে থেকেছেন তিনি।

Advertisement

শ্রাবণী বসু

লন্ডন শেষ আপডেট: ২৯ অক্টোবর ২০২১ ০৬:৪৬
Share:

উইম্বলডনে বসবে ভগিনী নিবেদিতার এই মূর্তি। নিজস্ব চিত্র

তিন বছর ধরে লড়াইয়ের পরে অবশেষে মিলল সাফল্য। আগামী বছর লন্ডনের উইম্বলডনে ভগিনী নিবেদিতার মূর্তি বসানোয় ছাড়পত্র দিল প্রশাসন। যাঁর অক্লান্ত পরিশ্রমে এই ছাড়পত্র মিলেছে সেই সারদা সরকার জানালেন, নিবেদিতার ১৫৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আগামী বছর মূর্তি বসবে।

Advertisement

গেরুয়া বসন পরিহিতা, গলায় রুদ্রাক্ষের মালা— নিবেদিতার সেই চিরাচরিত রূপটি ধাতব ছাঁচে ফুটিয়ে তুলেছেন শিল্পী মার্কাস বিয়েল। সারদা বললেন, ‘‘তিন বছর ধরে এক রকম যুদ্ধ করে উইম্বলডন প্রশাসনের অনুমতি আদায় করেছি। এ বছর কোভিডের কড়াকড়ির জন্য নিবেদিতার জন্মদিনের অনুষ্ঠান পালন করা যায়নি। আগামী বছর ধুমধাম করে অনুষ্ঠান করার পরিকল্পনা রয়েছে।’’ ব্রিটেনের মানুষকে নিবেদিতার জীবন আর ভারতের স্বাধীনতায় তাঁর অবদান সম্পর্কে ওয়াকিবহাল করতে বহু দিন ধরে প্রচার চালাচ্ছেন সারদা ও তাঁর সংগঠনের সদস্যেরা।

আয়ারল্যান্ডের মেয়ে মার্গারেট নোবেলই আমাদের চিরপরিচিতা ভগিনী নিবেদিতা। দীর্ঘদিন উইম্বলডনের বাড়িতে মা ও বোনের সঙ্গে থেকেছেন তিনি। ১৮৯৯ সালে এই বাড়িতে বেশ কিছু দিন মার্গারেটের পরিবারের সঙ্গে থেকেছিলেন স্বামী বিবেকানন্দও। তাঁদের স্মৃতিবিজড়িত সেই বাড়িতে ২০১৭ সালে ‘ব্লু প্লাক’ বসানোর সময়ে দরবার করেছিলেন সারদা। সে বার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে ওই প্লাক উদ্বোধন করেন। এখন অবশ্য উইম্বলডনের বাড়িতে রমরমিয়ে চলছে এক কাফে। আসা-যাওয়ার মাঝে ‘ব্লু প্লাকে’ চোখ বুলিয়ে যায় মানুষ।

Advertisement

২০১৯ সালে নর্থ ডেভনের গ্রেট টেরিংটনে মার্গারেটের পারিবারিক সমাধিক্ষেত্রে ব্রোঞ্জের মূর্তি বসিয়েছিলেন সারদা ও তাঁর সংগঠনের সদস্যেরা। রামকৃষ্ণ মিশনের সহায়তায় ওই মূর্তি বানিয়েছিলেন কলকাতার শিল্পী তুষার মহারাজ। সে বার সম্পূর্ণ খরচ বহন করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উইম্বলডনের মূর্তির খরচ জোগাতে এ বারও মুখ্যমন্ত্রীকে আবেদন জানিয়েছেন সারদারা। তিনি জানান, উইম্বলডনের কানিজ়ারো পার্কে ওই মূর্তি বসানোর জন্য স্থানীয় মেট্রন কাউন্সিলে আবেদন জানিয়েছিলেন। কিন্তু বিবেকানন্দের আদর্শে অনুপ্রাণিত নিবেদিতার সর্ব ধর্মসমন্বয় এবং জনসেবামূলক কাজ সম্পর্কে ব্রিটেনের বহু মানুষই অবগত নন। ফলে প্রশাসনকে বোঝাতে বেগ পেতে হচ্ছিল। এই সময়ে সারদার পাশে দাঁড়ান মুসলিম কনজ়ারভেটিভ পার্টির কাউন্সিলর নজীব লতিফ। সম্মিলিত ভাবে তিন বছরের লড়াইয়ে প্রশাসনের অনুমতি মিলেছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement