অগ্নিকাণ্ডের পর কুয়েতের সেই বহুতল আবাসন। ছবি: সংগৃহীত।
কুয়েতের বহুতলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৪৯। নিহতদের মধ্যে ৪২ জন ভারতীয়। এই ৪২ জনের দেহ দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগী হয়েছে নয়াদিল্লি। বুধবার রাতে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর কুয়েতের বিদেশমন্ত্রী আলি আল-ইয়াহিয়ার সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলেন। ইতিমধ্যেই আহতদের চিকিৎসার বিষয়টি দেখভাল করতে এবং নিহতদের দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনতে কেন্দ্রের প্রতিনিধি হিসাবে কুয়েতে পৌঁছে গিয়েছেন বিদেশ প্রতিমন্ত্রী কীর্তিবর্ধন সিংহ।
বুধবার ভোরের দিকে কুয়েতের রাজধানী শহরের দক্ষিণে মাঙ্গাফ এলাকার একটি বহুতল আবাসনে আগুন লাগে। জানা যায়, ওই আবাসনে মূলত থাকেন শ্রমিকেরা, যাঁদের অধিকাংশই ভারতীয়। প্রথমে জানা গিয়েছিল, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে প্রায় ৫০ জনকে। তবে কী কারণে আগুন লাগল, তা নিয়ে ধন্দ রয়েছে। কুয়েতের কিছু স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, গ্যাস লিক হওয়ার কারণেই এই বিপর্যয়। সরকারি ভাবে অবশ্য এই বিষয়ে কিছু বলা হয়নি। কুয়েতের আমির শেখ মেশাল আল-আহমেদ আল-জাবের আলজ-সাবাহ্ এই নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। তদন্তে অগ্রগতির জন্য কুয়েতের স্থানীয় প্রশাসন হোটেলটির মালিককে গ্রেফতার করার নির্দেশ দিয়েছে।
নিহত শ্রমিকদের মধ্যে বেশ কয়েক জন রয়েছেন, যাঁরা মিশর, নেপাল, পাকিস্তান এবং ফিলিপিন্সের বাসিন্দা। আবার ভারতীয়দের মধ্যে অধিকাংশই কেরল, তামিলনাড়ু এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের কিছু রাজ্যের বাসিন্দা। প্রত্যেকেরই বয়স ২০ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে। কুয়েত প্রশাসন জানিয়েছে, তারা হতাহতদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করছে। কুয়েতের এই ঘটনার পর বুধবার একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানে স্থির হয়, নিহতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী এক্স (সাবেক টুইটারে) হ্যান্ডলে একটি পোস্ট করে পশ্চিম এশিয়ায় কর্মরত ভারতীয়দের সুরক্ষার বিষয়টি সুনিশ্চিত করার জন্য সরকারের কাছে আর্জি জানিয়েছেন।