International News

কুলভূষণের সঙ্গে কাল দেখা করতে পারেন ভারতীয় কূটনীতিকরা

গত ১৭ জুলাই দ্য হেগে, আন্তর্জাতিক আদালত কুলভূষণের মৃত্যুদণ্ডাদেশ পুনর্বিবেচনা করার নির্দেশ দেয় ইসলামাবাদকে। এও বলে, জেলে বন্দি কুলভূষণের সঙ্গে যাতে দেখা করতে পারেন ইসলামাবাদে ভারতীয় হাইকমিশনের অফিসাররা, সেই অনুমতিও দিতে হবে পাক সরকারকে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০১ অগস্ট ২০১৯ ১৬:১৯
Share:

- ফাইল ছবি।

পাকিস্তানের জেলে বন্দি কুলভূষণ যাদবের সঙ্গে আগামী কাল দেখা করতে পারেন ইসলামাবাদে ভারতীয় হাইকমিশনের অফিসাররা। এ ব্যাপারে ইসলামাবাদ অনুমতি দিয়েছে বলে পাক সরকারের তরফে জানানো হয়েছে।

Advertisement

গত ১৭ জুলাই দ্য হেগে, আন্তর্জাতিক আদালত কুলভূষণের মৃত্যুদণ্ডাদেশ পুনর্বিবেচনা করার নির্দেশ দেয় ইসলামাবাদকে। এও বলে, জেলে বন্দি কুলভূষণের সঙ্গে যাতে দেখা করতে পারেন ইসলামাবাদে ভারতীয় হাইকমিশনের অফিসাররা, সেই অনুমতিও দিতে হবে পাক সরকারকে।

আন্তর্জাতিক আদালতের সেই রায়কে ভারত ‘বড় জয়’ বলে স্বাগত জানিয়েছিল। ইসলামাবাদের এ দিনের ঘোষণা তারই প্রেক্ষিতে।

Advertisement

ইরান থেকে পাকিস্তানে ঢোকার পর গুপ্তচরবৃত্তি ও সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের অভিযোগে ২০১৬-এর ৩ মার্চ বালুচিস্তান প্রদেশ থেকে কুলভূষণকে গ্রেফতার করে পাক নিরাপত্তা বাহিনী। তার পর ২০১৭-র এপ্রিলে কুলভূষণকে মৃত্যুদণ্ড দেয় পাক সামরিক আদালত।

আরও পড়ুন- ভারতীয় কূটনীতিকদের সঙ্গে কুলভূষণকে দেখা করতে দিতে বাধ্য পাকিস্তান, বলল বিদেশ মন্ত্রক

আরও পড়ুন- কুলভূষণ রায়ে ‘জয়’ ইসলামাবাদেরই, বলছে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম​

ওই সময় ভারতের তরফে জানানো হয়, নৌবাহিনী থেকে অবসর নেওয়ার পর ইরানে ব্যবসায়িক কাজে গিয়েছিলেন কুলভূষণ। সেখান থেকে তাঁকে অপহরণ করা হয়। রায় ঘোষণা পর্যন্ত কুলভূষণের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে স্থগিতাদেশ দেয় আন্তর্জাতিক আদালতের ১০ সদস্যের বেঞ্চ।

আন্তর্জাতিক আদালতে ভারতের আরও অভিযোগ ছিল, ৪৯ বছর বয়সী অবসরপ্রাপ্ত নৌসেনা অফিসার কুলভূষণের সঙ্গে পাকিস্তানে ভারতীয় হাইকমিশনের সদস্যদের দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না (কনস্যুলার অ্যাক্সেস)।

কুলভূষণকে কনস্যুলার অ্যাক্সেস না দিলেও পাকিস্তান ২০১৭ সালের ২৫ ডিসেম্বর ইসলামাবাদে তাঁর স্ত্রী ও মায়ের সঙ্গে ওই অবসরপ্রাপ্ত নৌসেনা অফিসারের সাক্ষাতের সুযোগ করে দেয়।পরে যদিও ভারতের তরফে অভিযোগ করা হয়, কুলভূষণকে ‘গুপ্তচর’ প্রমাণ করানোর জন্যেই পাকিস্তানের সেটা একটা কৌশল ছিল।

ভারতের অভিযোগ ছিল, এই ভাবেই ভিয়েনা চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করছে ইসলামাবাদ। পাক সামরিক আদালতের ওই রায়কে ভারতের তরফে আন্তর্জাতিক আদালতে ‘বিচারের নামে প্রহসন’ বলে অভিযোগ করা হয়। পাকিস্তান ভারতের সেই অভিযোগ অস্বীকার করে। বলে, কুলভূষণের মতো ‘গুপ্তচর’ দিয়েই ভারত পাকিস্তানের গোপন খবরাখবর সংগ্রহের চেষ্টা করেছিল।

এই মামলায় ভারতের পক্ষে আইনজীবী হরিশ সালভে পাকিস্তানের সামরিক আদালতের কার্যকলাপ নিয়েও আন্তর্জাতিক আদালতে প্রশ্ন তোলেন। তারই প্রেক্ষিতে তিনি যাদবকে দেওয়া মৃত্যুদণ্ডাদেশ খারিজ করার জন্য আন্তর্জাতিক আদালতে আর্জি জানান। অন্য দিকে, পাকিস্তানের আইনজীবী খায়র কুরেশি আন্তর্জাতিক আদালতকে ভারতের এই দাবি প্রত্যাখ্যান করার অনুরোধ করেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement