কেপি শর্মা ওলি। — ফাইল চিত্র।
মাওবাদী নেতা পুষ্পকমল দহল ওরফে প্রচণ্ডের স্থানে নেপালের প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন আর এক ‘চিনপন্থী’ নেতা কমিউনিস্ট পার্টি অফ নেপাল (ইউনিফায়েড মার্কসিস্ট লেনিনিস্ট)-এর প্রধান কেপি শর্মা ওলি। শের বাহাদুর দেউবার নেতৃত্বাধীন নেপালি কংগ্রেসের সমর্থন নিয়ে তৃতীয় বার কাঠমান্ডুর কুর্সিতে ফিরতে চলেছেন তিনি। শনিবারই আনুষ্ঠানিক ভাবে জোট সরকারের প্রধান হিসাবে সিপিএন (ইউএমএল) নেতা ওলির নাম ঘোষণার সম্ভাবনা।
শুক্রবার নেপাল পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অফ রিপ্রেজ়েনটেটিভসে আস্থাভোট পরাজিত হওয়ার পরে প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেন মাওয়িস্ট সেন্টারের প্রধান প্রচণ্ড। তার আগেই অবশ্য নেপালি কংগ্রেস-সিপিএন (ইউএমএল) জোটের কথা আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষিত হয়েছিল। তবে জল্পনা ছিল প্রধানমন্ত্রীর নাম নিয়ে। নেপালি কংগ্রেসের ৮৯ জন এবং সিপিএন (ইউএমএল)-এর ৭৮ মিলিয়ে মোট ১৬৭ জন সংসদের সমর্থন ওলির সঙ্গে রয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের নভেম্বরে নেপালের সাধারণ নির্বাচনে নেপালি কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধে লড়েছিল প্রচণ্ডের মাওয়িস্ট সেন্টার। কিন্তু জোটে জেতার পরেই দেউবাকে ছেড়ে ওলির সঙ্গে হাত মিলিয়ে প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন প্রচণ্ড। ২০২৩-এর মধ্য পর্বে ওলির সঙ্গে মতবিরোধের সময় দেউবার সমর্থন নিয়ে কাঠমান্ডুর কুর্সি বাঁচিয়েছিলেন একদা গেরিলা যোদ্ধা। মোট চার বার জোট বদলে কুর্সি বাঁচালেও এ বার ‘চিনপন্থী’ ওলি ‘জাতীয়তাবাদী’ দেউবার সঙ্গে হাত মেলানোয় আইনসভার পাটিগণিতের হিসাবে প্রচণ্ড হেরে গিয়েছেন।
শুক্রবার আস্থাভোটে ২৭৫ সদস্যের হাউস অফ রিপ্রেজ়েনটেটিভসের ২৫৭ জন ভোট দিয়েছিলেন। প্রচণ্ডকে সমর্থন করেছেন মাত্র ৬৩ জন! ১৯৪ জন বিরোধিতা করেছেন। তবে আস্থা ভোটের আগে প্রচণ্ডের প্রস্তাব মেনেই চিনের সঙ্গে ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’-এ বেজিং-কাঠমান্ডু রেল যোগাযোগ পরিকাঠামো গড়ে তুলতে দ্বিপাক্ষিক চুক্তির বিষয়টিতে ঐকমত্য হয়েছে পার্লামেন্টে। সমর্থন করেছে ওলির দল।