নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্পকমল দহাল ওরফে প্রচণ্ড। —ফাইল চিত্র।
আস্থা ভোটে পরাজিত হলেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্পকমল দহল ওরফে প্রচণ্ড। তবে তার ঠিক আগেই বেজিংয়ের ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’-এ চিন-নেপাল রেল যোগাযোগ পরিকাঠামো গড়ে তুলতে দ্বিপাক্ষিক চুক্তির বিষয়টি পাশ করিয়েছেন নেপালি পার্লামেন্টে। নেপালি কংগ্রেসের সমর্থন নিয়ে নেপালের কমিউনিস্ট পার্টি (ইউনিফায়েড মার্কসিস্ট লেনিনিস্ট)-র খড়্গপ্রসাদ শর্মা ওলি ফের কাঠমান্ডুর কুর্সিতে বসতে চলেছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
ওলিরা সমর্থন তোলার দিন দশেক পরে আজ পার্লামেন্টে আস্থা ভোটের মুখোমুখি হন প্রচণ্ড। জিততে দরকার ছিল অন্তত ১৩৮টি ভোট। ২৭৫ জন সদস্যের মধ্যে এক জন গরহাজির ছিলেন। ২৫৭ জন ভোট দিয়েছেন। প্রচণ্ডকে সমর্থন করেছেন মাত্র ৬৩ জন। ১৯৪ জন বিরোধিতা করেছেন। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে তৃতীয় বার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই প্রচণ্ডের সরকার বার বার শরিক বদল করেছে। আগের চারটি আস্থাভোটে সে ভাবে জিততেও পেরেছিলেন।
কংগ্রেসের ৮৯ জন ও তাঁর দলের ৭৮ মিলিয়ে মোট ১৬৭ জন সংসদের সমর্থন ওলির সঙ্গে রয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে। তিনি নেপালি কংগ্রেসের সভাপতি শের বাহাদুর দেউবাকে নিয়ে প্রেসিডেন্ট রামচন্দ্র পৌডেলের সঙ্গে অচিরেই দেখা করতে পারেন। আগামী ৩০ দিনের মধ্যে পার্লামেন্টে তাঁদের নতুন সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে হবে। রাতের দিকে প্রেসিডেন্টের দফতরের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, নতুন সরকার গঠনের জন্য রাজনৈতিক দলগুলিকে আহ্বান জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট। আগামী রবিবার বিকেল ৫টার মধ্যে পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের সদস্যদের আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রধানমন্ত্রিত্বের দাবি জানাতে হবে বলে বিবৃতিতে বলা হয়েছে। অন্তত দুই বা তার বেশি দলের সমর্থন থাকতে হবে সেই প্রার্থীর প্রতি।