Kathryn Sullivan

পৃথিবীর গভীরতম অংশে পৌঁছলেন ৬৮ বছরের মহিলা মহাকাশচারী

১৯৬০ সালে ডন ওয়ালস এবং জ্যাকওয়াস পিকার্ড প্রথম এখানে পৌঁছন। এখানে জলের চাপ এতটাই বেশি এবং এখানকার পরিবেশ এমন যে সেখানে কেবল কিছু সরল অণুজীব ছাড়া আর কিছুই বেঁচে থাকতে পারে না।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ১০ জুন ২০২০ ২০:২৩
Share:

ক্যাথরিন সুলিভান। টুইটার থেকে নেওয়া ছবি।

এত দিন পর্যন্ত সেখানে কোনও মহিলা পৌঁছতে পারেননি। এ বার সেই রেকর্ড গড়ে ফেললেন নাসার প্রাক্তন মহাকাশচারী ক্যাথরিন সুলিভান। পৃথিবীর গভীরতম অংশ হিসেবে ধরা হয় ‘চ্যালেঞ্জার ডিপ’-কে। পৃথিবীর প্রথম মহিলা ও অষ্টম ব্যক্তি হিসেবে সেখান থেকে ঘুরে এলেন ক্যাথরিন। তাঁর সঙ্গে জলযানের পাইলট হিসেবে ছিলেন ভিক্টর ভেসকোভো।

Advertisement

ক্যাথরিনের এখন বয়স ৬৮ বছর। ৩৭ বছর আগে তিনি আরও একটি রেকর্ড গড়েছিলেন। প্রথম মার্কিন মহিলা হিসেবে স্পেস ওয়াক করেন। তারপর ফের একটি রেকর্ড জুড়ল তাঁর নামের পাশে। ফলে তিনিই প্রথম ব্যক্তি যিনি এই দুই রেকর্ডের অধিকারী হলেন।

চ্যালেঞ্জার ডিপ-এর গভীরতা প্রায় ১১ হাজার৩৩ মিটার। প্রশান্ত মহাসাগরের পশ্চিম প্রান্তে মারিয়ানা দ্বীপপুঞ্জের পূর্বে অবস্থিত মারিয়ানা খাত উত্তর-পূর্ব থেকে দক্ষিণ-পশ্চিমে প্রায় আড়াই হাজার কিলোমিটার বিস্তৃত। খাতটির দক্ষিণ দিকে গুয়াম দ্বীপের ৩৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে পৃথিবীপৃষ্ঠের গভীরতম বিন্দুটির হল চ্যালেঞ্জার ডিপ।

Advertisement

আরও পড়ুন: পেটে কেট বের করতে হল আস্ত মাছ, কী করে ঢুকল দেখুন সেখানে!

জায়গাটি "এইচ এম এস চ্যালেঞ্জার ২" জাহাজের নামে নামকরণ করা হয়েছে। এই জাহাজের নাবিকেরাই বিন্দুটি ১৯৪৮ সালে আবিষ্কার করেন। ১৯৬০ সালে ডন ওয়ালস এবং জ্যাকওয়াস পিকার্ড প্রথম এখানে পৌঁছন। এখানে জলের চাপ এতটাই বেশি এবং এখানকার পরিবেশ এমন যে সেখানে কেবল কিছু সরল অণুজীব ছাড়া আর কিছুই বেঁচে থাকতে পারে না।

আরও পড়ুন: পালক নদীতে ঝাঁপ দিয়েছেন, চার দিন ধরে ব্রিজে এই কাজ করে গেল পোষ্য

সুলিভান একটি আন্ডারওয়াটার ক্র্যাফ্ট ‘লিমিটিং ফ্যাক্টর’ করে চ্যালেঞ্জার ডিপ-এ পৌঁছন। এই জলযান থেকে লাগাতার ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছিল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement