জি-৭ সম্মেলনের ফাঁকে ডোনাল্ড ট্রাম্প ও নরেন্দ্র মোদী। ছবি: রয়টার্স
অন্তত তিন বার মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়েছেন। কখনও আবার বলেছেন কাশ্মীর ‘জ্বলন্ত সমস্যা’। সেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পই এ বার কার্যত ভারতের সুরে সুর মেলালেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও বৈঠকে সেই বিষয়টিতেই সবচেয়ে বেশি জোর দিয়েছেন বলেই কূটনৈতিক সূত্রে খবর। এবং মার্কিন প্রেসিডেন্টকে সেটা বোঝাতে পেরেছেন। ফলে ট্রাম্পের এই অবস্থানকে ভারতের জয় হিসেবেই দেখছে কূটনৈতিক শিবির।
ফ্রান্সে গ্রুপ সেভেন বা জি-৭ সম্মলেনের ফাঁকে বৈঠক করেন ট্রাম্প মোদী। পরে সাংবাদিক সম্মেলনে মোদী বলেন, ‘‘ভারত ও পাকিস্তানের সব ইস্যু দ্বিপাক্ষিক। তাতে তৃতীয় কোনও দেশের মধ্যস্থতা বরদাস্ত করবে না।’’ একই সঙ্গে মোদী বলেন, ‘‘আমরা বিশ্বাস করি, দু’দেশের সমস্যাগুলি আমরা নিজেরাই আলোচনা করতে পারি এবং সমাধান করতে পারি।’’
সাংবাদিক সম্মেলনে ট্রাম্পও বলেন, ‘‘আমরা কাশ্মীর নিয়ে কথা বলেছি। প্রধানমন্ত্রী (নরেন্দ্র মোদী) সত্যিই মনে করেন, তিনি কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রেখেছেন। ভারত পাকিস্তানের সঙ্গে কথা বলছে এবং আমার স্থির বিশ্বাস, তারা (ভারত ও পাকিস্তান) এমন কিছু করতে সক্ষম হবে, যা খুবই ভাল।’’
আরও পড়ুন: কড়া পদক্ষেপ কেন্দ্রের, দুর্নীতির অভিযোগে বরখাস্ত ২২ আয়কর কর্তা
আরও পডু়ন: ভারতে জেএমবি জঙ্গি গোষ্ঠীর মাথা বীরভূমের ইজাজ এসটিএফের জালে
কাশ্মীরে ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদ করে বিশেষ মর্যাদা তুলে নেওয়ার আগেই ট্রাম্প বলেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁকে কাশ্মীর ইস্যুতে মধ্যস্থতার আর্জি জানিয়েছিলেন। তখন আবার পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ছিলেন মার্কিন সফরে। স্বাভাবিক ভাবেই ভারতে তার তীব্র প্রতিক্রিয়া হয়েছিল ভারতে। তার পরেও আরও অন্তত দু’বার তিনি বলেছিলেন, কাশ্মীর ইস্যুতে তিনি মধ্যস্থতা করতে চান। যদিও এ দিন সেই মধ্যস্থতার প্রসঙ্গ তোলেননি ট্রাম্প।
কিন্তু ট্রাম্পের এই মধ্যস্থতা করার প্রশ্নে কখনওই সায় দেয়নি হোয়াইট হাউস। বরং নিরপেক্ষ অবস্থান নিয়ে কাশ্মীর ভারত-পাক দ্বিপাক্ষিক ইস্যু এবং ৩৭০ অনুচ্ছেদ প্রত্যাহারও ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলেই মত প্রকাশ করেছে ওয়াশিংটন। সোমবারের এই বৈঠকেও ট্রাম্প ‘মধ্যস্থতা’র বিষয়টি তোলেননি বলেই কূটনৈতিক সূত্রের খবর।