International News

যৌন নির্যাতনের অভিযোগ ওড়ালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ডেমোক্র্যাট প্রার্থী বিডেন

সেনেটের প্রাক্তন কর্মী টারা রিড অভিযোগ করেছিলেন, ন’য়ের দশকে তাঁকে যৌন নির্যাতন করেছিলেন বিডেন। সেই অভিযোগ নিয়ে কানাঘুষো শুরু হওয়ার পরেও এত দিন মুখ খোলেননি বিডেন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ০২ মে ২০২০ ১১:২১
Share:

উদ্বিগ্ন? মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বিডেন। - ফাইল ছবি।

তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যৌন নির্যাতনের অভিযোগ শুক্রবার ফুৎকারেই উড়িয়ে দিলেন আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী, প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বিডেন। বললেন, ‘‘না, না ও সব কিছুই হয়নি।’’

Advertisement

সেনেটের প্রাক্তন কর্মী টারা রিড অভিযোগ করেছিলেন, ন’য়ের দশকে তাঁকে যৌন নির্যাতন করেছিলেন বিডেন। সেই অভিযোগ নিয়ে কানাঘুষো শুরু হওয়ার পরেও এত দিন মুখ খোলেননি বিডেন।

মার্কিন টেলিভিশন চ্যানেল এমএসএনবিসি-র সকালের একটি অনুষ্ঠান ‘মর্নিং জো’-এ গত কাল এক সাক্ষাৎকারে সেনেটের প্রাক্তন কর্মীর সেই অভিযোগকে উড়িয়ে দিয়ে বিডেন বলেন, ‘‘না, না কিছুই হয়নি। আমি জোর দিয়ে বলছি, ও সব কিছুই হয়নি।’’

Advertisement

টারা জানিয়েছিলেন, বিডেনের বিরুদ্ধে তিনি লিখিত ভাবে অভিযোগ জানিয়েছেন। তার প্রেক্ষিতে বিডেন বলেন, ‘‘এমন কোনও অভিযোগ সত্যি সত্যিই জমা পড়েছে কি না, তা আমি জাতীয় সংগ্রহশালার কাছে জানতে চাইব।’’

আরও পড়ুন: চিনের ‘ব্যর্থ’ ওষুধেই দিশা দেখাচ্ছেন মার্কিন বিজ্ঞানী​

আরও পড়ুন: সংক্রমণ সাগর দত্ত হাসপাতালে, ১৭ চিকিৎসক-সহ কোয়রান্টিনে ৩৬

সাক্ষাৎকারের পরেই সেনেটের সচিবকে একটি চিঠি পাঠান বিডেন। এমন কোনও অভিযোগ সত্যি সত্যিই জমা পড়েছে কি না, জাতীয় সংগ্রহশালাকে তা খুঁজে বের করার জন্য সেনেটের সচিবকে লেখা চিঠিতে অনুরোধ জানান বিডেন।

তার আগে ওই টেলিভিশন চ্যানেলের সাক্ষাৎকারে বিডেন বলেন, ‘‘সেনেটের প্রাক্তন কর্মী বলেছেন, তিনি সেই অভিযোগ জানিয়েছিলেন ১৯৯৩ সালে। কিন্তু সেই অভিযোগের কোনও রেকর্ড তাঁর কাছে নেই।’’ এ ব্যাপারে তাঁর কী বক্তব্য, সেনেটের ওই প্রাক্তন কর্মীর কাছে থেকে তা গত কাল জানা যায়নি।

ক্যাপিটল হিলে জাতীয় সংগ্রহশালার তরফে জানানো হয়েছে, ‘‘যদি কোনও অভিযোগ থেকেও থাকে, তা হলে তার যাবতীয় রেকর্ড থাকে সেনেটেরই নিয়ন্ত্রণে।’’

যদিও কংগ্রেসনাল ওয়ার্কপ্লেস রাইট্‌সের কার্যালয়ের মুখপাত্র বলেছেন, ‘‘এমন কোনও অভিযোগ সত্যি সত্যিই জমা পড়েছে কি পড়েনি, সাংবিধানিক গোপনীয়তার কারণেই তা জানানো সম্ভব হচ্ছে না।’’ মার্কিন কংগ্রেসের দুই কক্ষ সেনেট ও হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভসের সদস্যদের যাবতীয় তথ্যাদি থাকে কংগ্রেসনাল ওয়ার্কপ্লেস রাইট্‌সের কার্যালয়েই।

টারার উদ্দেশ্য নিয়ে কোনও প্রশ্ন না তুলেও বিডেন টেলিভিশন চ্যানেল দেওয়া তাঁর সাক্ষাৎকারে অবশ্য বলেছেন, ‘‘অভিযোগের মধ্যে প্রচুর বিভ্রান্তি আছে। আমি পাঁচ দশক ধরে মানুষের কাজ করে চলেছি। কাউকে কখনও বলিনি, আমার বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ করা যাবে না, এমন দাসখত লিখে দিতে হবে।’’

নির্বাচনের মুখে প্রতিদ্বন্দ্বী বিডেনের বিরুদ্ধে ওঠা যৌন নির্যাতনের অভিযোগে যতটা উৎসাহিত হওয়া উচিত ছিল প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের, অন্তত দৃশ্যত ততটা উৎসাহ দেখাননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ট্রাম্প বলেছেন, ‘‘উনি কী করবেন, সেই সিদ্ধান্তটা বিডেনকেই নিতে হবে। কী করতে হবে, সেটা তো আর আমি ওঁকে বলে দিতে পারি না! যদি অভিযোগ অস্বীকার করার মতো যথেষ্ট প্রমাণ বিডেনের হাতে থাকে, তা হলে তার চেয়ে ভাল আর কিছুই হয় না।’’

(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement