প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।—ছবি রয়টার্স।
ভারমন্টের সেনেটর বার্নি স্যান্ডার্সের ফিরে আসার রাস্তা এক রকম বন্ধই করে দিলেন প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ডেমোক্র্যাটদের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হতে মনোনয়ন পাওয়ার লড়াইয়ে মঙ্গলবার রাতের পরে আরও এগিয়ে গেলেন বাইডেন। মার্কিন সংবাদমাধ্যমে দাবি, ভোটের অঙ্কে পরিবর্তন ঘটতে পারে এমন গুরুত্বপূর্ণ প্রদেশ মিশিগানেও জয় ছিনিয়ে নিয়ে বাইডেন কোণঠাসা করে ফেলেছেন স্যান্ডার্সকে। এখন সব মিলিয়ে চারটি প্রদেশে প্রাইমারিতে জিতে অনেকটাই স্বস্তিতে বাইডেন। মিশিগান, মিসিসিপি এবং মিসৌরিতে ৭৭ বছর বয়সি বাইডেনের ঝুলিতে ৭৮৮ জন প্রতিনিধির সমর্থন। ৭৮ বছর বয়সি স্যান্ডার্স জোগাড় করেছেন ৬৩৩ জন প্রতিনিধির সায়। বাইডেন জিতেছেন আইডাহোতেও। নর্থ ডাকোটা অবশ্য পেয়েছেন স্যান্ডার্সই। ওয়াশিংটন স্টেটের ফল এখনও আসা বাকি।
ডেমোক্র্যাটিক পার্টির মনোনয়ন পেতে হলে ৩৯৭৯ জন প্রতিনিধির মধ্যে অন্তত ১৯৯১ জনের সমর্থন পেতে হয় সংশ্লিষ্ট প্রার্থীকে। বাইডেন গোড়ার দিকে অন্যদের থেকে কিছুটা পিছিয়েই ছিলেন। কিন্তু গত সপ্তাহে ‘সুপার টিউজ়ডে’-র পরে ১৪টি প্রদেশের ৯টি-তে জিতে লড়াইয়ে ফেরেন বাইডেন। মিশিগানে বাইডেনের জয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এই প্রদেশে চার বছর আগে তৎকালীন ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী এবং প্রাক্তন বিদেশসচিব হিলারি ক্লিন্টনকে হারিয়ে ছিলেন বার্নি স্যান্ডার্স।
বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, বাইডেনের জায়গা ক্রমশ মজবুত হওয়ার বড় কারণ, শ্রমিক শ্রেণি এবং অল্পবয়সি ভোটারদের মধ্যে তাঁর জনপ্রিয়তা। ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে সব চেয়ে ভরসাযোগ্য বিকল্প তাই হয়ে উঠেছেন তিনিই। পেনসিলভ্যানিয়ায় বক্তৃতায় বাইডেন বলেন, এ বারের ভোটে গণতন্ত্র সঙ্কটের মুখে। ট্রাম্পের দ্বিতীয় দফা মেনে নেওয়ার মতো অবস্থায় নেই দেশ। তাঁর কথায়, ‘‘প্রেসিডেন্ট হওয়া মানে শুধু লড়াই করতে জানা নয়, উপশমের রাস্তাও বাতলে দেওয়া।’’ বার্নির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘‘ওঁকে আর ওঁর সমর্থকদের ধন্যবাদ দিতে চাই। আমাদের লক্ষ্যটা একই। আমরা একসঙ্গেই ট্রাম্পকে হারাব।’’