জো বাইডেন ও কমলা হ্যারিস। ফাইল চিত্র।
বর্ণবৈষম্য নিয়ে উত্তপ্ত আবহের মধ্যে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসেবে সেনেটর কমলা হ্যারিসকে বেছে নিলেন প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী জো বাইডেন। এই প্রথম কোনও অ-শ্বেতাঙ্গ মহিলা এই পদের জন্য মনোনীত হলেন। যা মার্কিন ইতিহাসে নজিরবিহীন। কমলা প্রথম এশীয়-আমেরিকান মহিলা যাঁকে এই পদের জন্য মনোনীত করা হল।
হ্যারিসকে এক জন নির্ভীক যোদ্ধা বলেও বর্ণনা করেছেন বাইডেন। হ্যারিসকে মনোনীত করার পর বাইডেন বলেন, “আমরা দু’জনে মিলে এ বার ট্রাম্পকে কড়া টক্কর দেব।” বাইডেনের সহযোদ্ধা হিসেবে মনোনীত হওয়ার পর হ্যারিস টুইট করেন, “এই মনোনয়নের জন্য আমি গর্বিত। বাইডেন যাতে প্রেসিডেন্ট হতে পারেন তার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করব।” গত মার্চেই বাইডেন এ প্রসঙ্গে আভাস দিয়েছিলেন কোনও মহিলাকে ভাইস প্রেসিডেন্ট পদের টিকিট দেবেন তিনি। সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করলেন।
এক সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার দৌড়েও সামিল হয়েছিলেন কমলা। কিন্তু ডেমোক্র্যাটদের অন্তর্দ্বন্দ্বের কারণে জো বাইডেনের কাছে হেরে যান তিনি। বাইডেনের বিরুদ্ধে নানা বিষয় নিয়ে সেনেটে সরবও হয়েছিলেন হ্যারিস। কিন্তু নির্বাচনের আগেই সেই হ্যারিসকেই তাঁর সঙ্গী হিসেবে মনোনীত করে সকলকে চমকে দিয়েছেন বাইডেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্ণবৈষম্য নিয়ে উত্তপ্ত আমেরিকা। তাই নির্বাচনের আগে হ্যারিসকে বেছে নিয়ে অ-শ্বেতাঙ্গ ভোটব্যাঙ্ককে নিশ্চিত করার পথ মসৃণ করলেন।
আরও পড়ুন: যে কোনও মুহূর্তে ঘুরে দাঁড়ানোর আশা হু-র
ইন্দো-মার্কিনীদের অনেকেই বাইডেনের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। পেপসিকো প্রধান ইন্দ্রা নুয়ি যেমন বলেছেন, “এটা একটা দারুণ সিদ্ধান্ত। একটা গর্বের মুহূর্ত গোটা মার্কিন সমাজের কাছে।” ভাইস-প্রেসিডেন্টের দৌড়ে শামিল হওয়ার পরই কমলার সমর্থকরা প্রচার শুরু করেছেন, ‘আমেরিকা মে খিলা কমল’।
তবে ইন্দো-মার্কিনীদের মধ্যে আবার একটা অংশ কমলার মনোনয়ন নিয়ে খুব একটা সন্তুষ্ট নয়। তাঁরা ভারত-আমেরিকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে কমলার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
ইন্দো-মার্কিনীদের একাংশের মতো প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও বাইডেনের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন। কমলা হ্যারিসকে ‘ভয়ানক’ বলেও কটাক্ষ করেছেন তিনি। সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, “অবাক হচ্ছি, বাইডেন এ রকম এক জন ব্যক্তিকে কী ভাবে মনোনীত করতে পারলেন।!”