শি জিনপিং এবং জো বাইডেন (ডান দিকে)। ছবি: রয়টার্স।
চিনা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠককে ‘গঠনমূলক’ বলে ব্যাখ্যা করেও শেষে শি জিনপিংকে ‘একনায়ক’ বলে খোঁচা দিলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ঘটনাচক্রে, এর আগেও জিনপিংকে ‘একনায়ক’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন বাইডেন। সেই সময় চিন এই বিষয়ে কড়া বক্তব্য শুনিয়েছিল আমেরিকাকে। এ বার কী হয়, তা-ই দেখার। বাইডেন অবশ্য নিজের ‘একনায়ক’ মন্তব্যের ব্যাখ্যাও দিয়েছেন।
আমেরিকার সান ফ্রান্সিসকোয় এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলির বৈঠকের মধ্যেই বুধবার একটি পার্শ্ব বৈঠক করেন বাইডেন এবং জিনপিং। বিশ্ব রাজনীতির টালমাটাল পরিস্থিতিতে দুই শক্তিধর দেশের সর্বোচ্চ নেতার মধ্যে হওয়া বৈঠকের দিকে নজর ছিল সকলের। বৈঠকের শেষে তাঁদের মধ্যে হওয়া আলোচনার নির্যাস জানাতে এসে বাইডেন সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, “আমি মনে করি যে, আমরা কিছু গঠনমূলক এবং কার্যকরী আলোচনা করতে পেরেছি।”
চিনের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে এই বৈঠক প্রসঙ্গে জানানো হয়, “বিবিধ বিষয় নিয়ে দুই দেশের মধ্যে গভীর আলোচনা এবং মতের আদানপ্রদান হয়েছে।” এর পাশাপাশি ওই বিবৃতিতে বলা হয়, “একটি দেশের সাফল্য অন্য দেশটির সাফল্যের ক্ষেত্র প্রস্তুত করে দেয়।”
তবে আপাত ভাবে ঐকমত্যের এই ছবিটি তুলে ধরা হলেও শেষে সুর কাটে বাইডেনের ওই একটি মন্তব্যে। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বলেন, “ওঁর (জিনপিং) দিকে দেখুন। উনি এক জন একনায়ক।” কেন জিনপিং একনায়ক, তার ব্যাখ্যা দিয়ে বাইডেন বলেন, “উনি এমন একটা দেশ চালান, যেটা একটা কমিউনিস্ট দেশ। ওই দেশে প্রশাসনিক কাঠামো আমাদের দেশের তুলনায় একদমই আলাদা।”