জেক পল (বাঁ দিকে) ও মাইক টাইসনের ম্যাচের একটি মুহূর্ত। শনিবার টেক্সাসে। ছবি: রয়টার্স।
৭২ হাজার ৩০০ দর্শক স্টেডিয়ামে বসে দেখেছেন মাইক টাইসন ও জেক পলের খেলা। ওটিটি প্ল্যাটফর্মে খেলা দেখেছেন প্রায় ৩০ কোটি দর্শক। খেলার অনেক আগে থেকে বেড়েছিল ম্যাচের উত্তাপ। রিংয়ে নেমে কয়েকশো কোটি টাকা রোজগার করেছেন দুই বক্সার। তবে টাইসন যত টাকা পেয়েছেন তার দ্বিগুণ টাকা পেয়েছেন পল।
জানা গিয়েছে, এই ম্যাচের জন্য ভারতীয় মুদ্রায় ১৬৯ কোটি টাকা পেয়েছেন টাইসন। পল পেয়েছেন ৩৩৮ কোটি টাকা। তবে দর্শকেরা যে ম্যাচের আশা করেছিলেন তা দেখা যায়নি। প্রথম রাউন্ডের পরেই ক্লান্ত হয়ে পড়েন টাইসন। ফলে সুবিধা হয় পলের।
শনিবার পুরো আট রাউন্ড খেলা হয়। দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর কেউ কাউকে নক আউট করতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত পয়েন্টের বিচারে জেতেন পল। এই ম্যাচের পর বিশ্রামে যেতে হবে টাইসন ও পলকে। সাধারণত একটি ম্যাচের পর অন্তত সাত থেকে ১০ দিন বিশ্রাম দেওয়া হয় বক্সারদের। টাইসন বনাম পল ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্ব ছিল ‘টেক্সাস ডিপার্টমেন্ট অফ লাইসেন্সিং অ্যান্ড রেগুলেশন’-এর। তারা জানিয়েছে, প্রতিটি রাউন্ডের জন্য দুই বক্সারকে তিন দিন করে বিশ্রাম নিতে হবে। আট রাউন্ড খেলা হওয়ায় মোট ২৪ দিন বিশ্রাম নিতে হবে টাইসন ও পলকে। এই সময়ের মধ্যে আর খেলতে পারবেন না তাঁরা।
১৯ বছর পর বক্সিং রিংয়ে নেমেছিলেন টাইসন। ৫৮ বছর বয়সে তিনি লড়লেন ২৭ বছরের পলের বিরুদ্ধে। বয়স স্বাভাবিক ভাবেই থাবা বসিয়েছে টাইসনের খেলায়। কিন্তু মনের জোর একটুও কমেনি। শনিবার পলের বিরুদ্ধে হেরে গেলেও আবার লড়তে চান টাইসন। ম্যাচ শেষে তাঁকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, এটাই শেষ লড়াই কি না। উত্তরে টাইসন বলেন, “আমি জানি না। আগামী দিনের পরিস্থিতির উপর নির্ভর করছে। আমার মনে হয় না এটাই শেষ। আমি এর পর লোগানের বিরুদ্ধে লড়তে পারি।” লোগান হচ্ছেন পলের দাদা। তিনিও বক্সার। ২৯ বছর বয়স তাঁর।