জো বাইডেন। —ফাইল চিত্র।
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই করোনা রুখতে জোরদার পরিকল্পনা শুরু করে দিয়েছেন জো বাইডেন। তৈরি হয়ে গিয়েছে ভাইরাস বিষয়ক বিশেষ উপদেষ্টা-দল। সেই দলেরই ভারতীয়-আমেরিকান সদস্য, সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ সেলিন গাউন্ডার আজ জানালেন, ভ্যাকসিন এলে, কাদের তা আগে দেওয়া হবে, সে সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব বিশেষজ্ঞদের উপরেই ছেড়ে দেবেন বাইডেন।
শোনা যাচ্ছে, ডিসেম্বরেই শুরু হয়ে যেতে পারে টিকাকরণ। আমেরিকার দুই সংস্থা ফাইজ়ার ও মডার্না তাদের তৈরি সম্ভাব্য ভ্যাকসিন দু’টিকে জরুরি পরিস্থিতিতে ছাড়পত্র দেওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছে সরকারের কাছে। গত পরশুই সংক্রমণে রেকর্ড গড়েছে আমেরিকা। ২৪ ঘণ্টায় ২ লক্ষ মানুষ নতুন করে করোনা-আক্রান্ত হয়েছেন। আমেরিকায় এখনও পর্যন্ত ২ লক্ষ ৭২ হাজারেরও বেশি মারা গিয়েছেন করোনায়। আগামী তিন সপ্তাহে আরও অন্তত ৬০ হাজার প্রাণ যাবে বলে আশঙ্কা। এ অবস্থায় সম্ভাব্য ভ্যাকসিন দু’টিকে ‘ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’ ছাড়পত্র দিলেও, কাদের আগে টিকা দেওয়া হবে, সে নিয়ে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হবে সরকারকে। বিশেষ করে, এটা জানা কথাই যে, গোড়ার দিকে টিকার সরবরাহ সীমিত থাকবে। সেলিন জানিয়েছেন, এই সিদ্ধান্ত বিশেষজ্ঞদের উপরেই ছেড়ে দিতে চান বাইডেন।
এ পর্যন্ত যা খবর— আমেরিকার ‘সেন্টার ফর ডিজ়িজ় কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন’-এর ‘অ্যাডভাইজ়রি কমিটি ফর ইমিউনাইজ়েশন প্র্যাকটিস’ (এসিআইপি) প্রথম ভ্যাকসিন-গ্রহণকারী দলটির নাম ঘোষণা করবে। এ জন্য ১ ডিসেম্বর বৈঠকে বসবে ওই কমিটি।
সেলিন বলেন, ‘‘স্বাস্থ্যকর্মী ও বয়স্কদের ভ্যাকসিন দেওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। তা ছাড়া, প্রথম দিকেই তাঁরাও ভ্যাকসিন পাবেন, যাঁদের অন্য কোনও কঠিন রোগ রয়েছে। কৃষ্ণাঙ্গদের কিছু কিছু গোষ্ঠীর মধ্যে এই রোগের প্রাদুর্ভাব অনেক বেশি। তাই ভ্যাকসিন পাওয়ার তালিকায় তাঁরাও রয়েছেন উপরের দিকে।’’ তবে হিসেবটা এত সহজ নয়। এর মধ্যেও যখন বাছাবাছি করতে হবে, তখনই সমস্যা দেখা দেবে। সেলিনের কথায়, ‘‘ধরুন, এক জন ৮৫ বছরের শ্বেতাঙ্গ মহিলা হাসপাতালে ভর্তি। আর এক জন অসুস্থ আফ্রিকান-আমেরিকানের বয়স হয়তো ৬৫। তখন কাকে বেছে নেওয়া হবে? এখানেই লোকে রাজনীতির গন্ধ পেতে পারেন। তাই সবটা স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের উপরে ছেড়ে দিতে চান বাইডেন।’’