ইভাঙ্কা চ্রাম্প। ফাইল চিত্র।
ট্রাম্প কন্যা ইভাঙ্কাকে কটূক্তি করার অভিযোগে দুই ব্যক্তিকে বিমান থেকে নামিয়ে দিলেন জেটব্লু কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে জন এফ কেনেডি বিমানবন্দরে।
জেটব্লু-র ওই বিমানে করে হাওয়াইতে সপরিবারে ছুটি কাটাতে যাচ্ছিলেন ইভাঙ্কা। সঙ্গে ছিলেন তাঁর স্বামী জেরেড কুসনারও। অভিযোগ, যাত্রী আসনে বসার পরই ইভাঙ্কাকে লক্ষ্য করে এক সহযাত্রী কটূক্তি করেন। বিমান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, অভিযুক্ত ওই ব্যক্তির নাম ড্যান গোল্ডস্টেইন। পেশায় তিনি এক জন আইনজীবী। তাঁর সঙ্গে ম্যাথিউ লেসনার নামে এক বন্ধুও ছিলেন।
ইভাঙ্কার দাবি গোল্ডস্টেইন তাঁকে বলেন, ‘‘আপনি আমাদের ফ্লাইটে কেন? ব্যক্তিগত বিমানে যাত্রা করুন।’’ গোল্ডস্টইনের এই কথার প্রেক্ষিতে ইভাঙ্কা কোনও প্রতিক্রিয়া করেননি। অভিযোগ ফের তিনি বলেন, “বাবা দেশ ধ্বংস করছেন আর মেয়ে করছেন আমাদের ফ্লাইট।” এই কথার পরই আর নিজেকে ঠিক রাখতে পারেননি ইভাঙ্কা। সোজা বিমানকর্মীদের কাছে গিয়ে গোল্ডস্টেইনের নামে অভিযোগ করেন ইভাঙ্কা। তিনি বিমানকর্মীদের বলেন, “চাই না বিষয়টা নিয়ে বেশি দূর জল গড়াক।” তাই কোনও ঝুঁকি না নিয়েই অভিযুক্ত ব্যক্তি ও তাঁর বন্ধুকে বিমান থেকে নামিয়ে দেন বিমানকর্মীরা।
ওই বিমানেরই আর এক সহযাত্রী মার্ক সেফ গোটা বিষয়টি সংবাদমাধ্যমে জানান। তিনি ইভাঙ্কা ট্রাম্পের সামনের আসনে ছিলেন। সেফ জানান, ওই ব্যক্তি নাকি অত্যন্ত কড়া ভাবেই কথাগুলো বলছিলেন ইভাঙ্কাকে।
কিন্তু কোনও যাত্রীকে কি এ ভাবে বিমান নামিয়ে দেওয়া যায়?
এই প্রশ্নের উত্তরে বিমান কর্তৃপক্ষ জানান, বিমানকর্মীরা যদি মনে করেন কোনও যাত্রী ঝামেলার সৃষ্টি করতে পারেন, তা হলে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে তাঁকে নামিয়ে দেওয়া যেতেই পারে। তবে ওই যাত্রীদের যাতে গন্তব্যে পৌঁছতে কোনও অসুবিধা না হয় তাই তাঁদের জন্য আলাদা ফ্লাইটের ব্যবস্থাও করা হয়েছিল বলে জেটব্লু কর্তৃপক্ষ জানান।
এই ঘটনায় চূড়ান্ত অপমানিত বোধ করেন অভিযুক্ত যাত্রী ও তাঁর বন্ধু। কেন এমন আচরণ করলেন, সে প্রসঙ্গে কিছু বলতে চাননি গোল্ডস্টেইন। তবে নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টে এই ঘটনার উল্লেখ করে দু’টি পোস্ট করেছিলেন ম্যাথিউ লেসনার। পরে অবশ্য পোস্টগুলি মুছেও দেন। তবে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, ওই দুই ব্যক্তি হিলারির সমর্থক।
তবে এই ঘটনা প্রসঙ্গে ইভাঙ্কার তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।