হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয়েছে যুবকের। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
মাথার উপর ঋণের বোঝা! ব্যাঙ্কের কর্মীরা এসে প্রায়ই ধার শোধের জন্য তাগাদা দিতেন। এই পরিস্থিতিতে বিহারের বাঁকা জেলায় তিন সন্তান এবং স্ত্রী গীতাকে নিয়ে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন কানহাইয়া মাহাতো নামের এক যুবক। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয়েছে কানহাইয়ার। স্ত্রী এবং তিন সন্তানের অবস্থা সঙ্কটজনক।
পুলিশ জানিয়েছে, কানহাইয়া পেশায় অটোচালক ছিলেন। বেশ কয়েকটি ব্যাঙ্ক থেকে টাকা ধার নিয়েছিলেন তিনি। স্থানীয়েরা জানিয়েছেন, প্রায়ই ব্যাঙ্কের কর্মীরা বাড়ি এসে ধার শোধের জন্য চাপ দিতেন। অপমানও করতেন বলে অভিযোগ। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কানহাইয়ার কন্যা সবিতা কুমারী পুলিশকে বলেছেন, ‘‘বাবা-মা বলেন ওঁদের বদনাম হয়েছে। এ ভাবে অপমানিত হয়ে ওঁরা বাঁচতে চান না। আমাদের বলেন, একসঙ্গে সকলে মিলে মরব।’’
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাত ২টো নাগাদ কীটনাশক খান কানহাইয়া এবং তাঁর পরিবার। কানহাইয়ার সবচেয়ে ছোট ছেলে রাকেশ কুমার কীটনাশক বড়ি খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তা মুখ থেকে ফেলে দেয়। এর পর সে কানহাইয়ার বোন বীণা দেবীকে ফোন করে বিষয়টি জানায়। পরিবারের সকলকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। যাওয়ার পথে মৃত্যু হয় কানহাইয়ার। বাকি চার জনকে ভাগলপুরের হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।