পুত্রকে হত্যায় অভিযুক্ত পিতা। ছবি: সংগৃহীত।
পড়াশোনায় মন নেই। মোবাইল ফোনে আসক্ত ছেলে। তাই সন্তানকে শিক্ষা দিতে ব্যাট দিয়ে মাথায় সজোরে আঘাত করলেন বাবা। আরও জোরদার শিক্ষা দিতে দেওয়ার জন্য দেওয়ালে মাথাও ঠুকে দিলেন! পুলিশি তদন্তে ইঙ্গিত, ১৪ বছরের ছেলের মৃত্যু সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার পরেই তাকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন বাবা। বেঙ্গালুরুর এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারি এড়াতে অবশ্য চেষ্টার ত্রুটি রাখেননি অভিযুক্ত। ছেলের শরীরে থাকা রক্তের সব দাগ মুছে ফেলেছিলেন। পড়শিদের জানিয়েছিলেন, হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ছেলের। কিন্তু পাড়ার কয়েক জনের সন্দেহ হয়। খবর যায় পুলিশের কাছে। পুলিশি তদন্তে উঠে আসে একের পর এক হাড়হিম করা তথ্য। জেরায় খুনের কথা স্বীকার করে নেন অভিযুক্ত।
প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, ছেলের পরীক্ষার ফল নিয়ে অসন্তুষ্ট ছিলেন অভিযুক্ত। ছেলের মোবাইল ফোনের প্রতি নেশাও তাঁকে উদ্বেগে রেখেছিল। শুক্রবার এই সব বিষয় নিয়েই ছেলের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় তাঁর। তার পরেই রাগে ক্রিকেট ব্যাট দিয়ে ছেলেকে মারতে থাকেন তিনি। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে নিহতের সারা শরীরে মারধরের ইঙ্গিত মিলেছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত যন্ত্রণায় কাতরাতে থাকলেও ছেলেকে হাসপাতালে নিয়ে যাননি অভিযুক্ত। বরং মারতে মারতে বলতে থাকেন, “তুই মরে গেলেও কিছু যায় আসবে না।”