এ বার জি ২০-র সভাপতি রাষ্ট্র ভারত। ফাইল ছবি।
বেঙ্গালুরুতে আসন্ন জি২০-ভুক্ত রাষ্ট্রগুলির অর্থমন্ত্রীদের শীর্ষ বৈঠকের মঞ্চকে কাজে লাগিয়ে রাশিয়ার বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাতে চলেছে আমেরিকা এবং ইউরোপের কিছু দেশ। কূটনৈতিক সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে। সূত্রের বক্তব্য, সে ক্ষেত্রে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ নিয়ে আগাগোড়া কৌশল গতগত ভারসাম্য বজায় রাখা ভারতের কাছে বিষয়টি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে এ বার জি ২০-র সভাপতি রাষ্ট্র ভারত। ফলে রাশিয়াকে কেন্দ্র করে জি২০-র মধ্যে যাতে কোনও ফাটল তৈরি না হয়, সেটা দেখা ভারতের কর্তব্যের মধ্যে পড়ে। পাশাপাশি আমেরিকার নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে রাশিয়ার কাছ থেকে কম দামে অপরিশোধিত তেল বিপুল ভাবে আমদানি করে চলেছে মোদী সরকার। রাশিয়া ভারতের প্রাচীনতম প্রতিরক্ষা অংশীদারও বটে। অন্য দিকে আমেরিকার সঙ্গেও কৌশলগত সম্পর্ক রয়েছে নয়াদিল্লির। স্বাভাবিক ভাবেই কোনও একটি পক্ষ নেওয়া সম্ভব নয় ভারতের জন্য।
সূত্রের খবর, এই পরিস্থিতিতে আগামী ২৪ তারিখ জি-২০ অর্থমন্ত্রীদের বৈঠকে রাশিয়ার অর্থমন্ত্রী আন্তন সিলুয়ানভ শেষ পর্যন্ত বেঙ্গালুরু আসবেন কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। আসন্ন সংঘাতের সম্ভবনা আঁচ করে মস্কো নামমাত্র প্রতিনিধি পাঠাতে পারে। তবে রাশিয়া থেকে যিনিই আসুন, ইউক্রেন হামলার ফলে বেহাল আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতির জন্য তাঁকে কোণঠাসা করতে চাইবে পশ্চিমি বিশ্ব।
নয়াদিল্লি সূত্রে খবর, ভারত চাইছে অর্থমন্ত্রী এবং রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নরদের নিয়ে এই বেঙ্গালুরু বৈঠকে সবাই মিলে চিনের উপর চাপ বাড়ানো হোক। ছোট ও মাঝারি দেশগুলির ঋণ মকুব, সার্বিক আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক অবস্থার হাল ফেরানো নিয়ে আলোচনা হোক। কিন্তু তা না করে যদি রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়, জি ২০-তে চিড় ধরতে পারে বলে আশঙ্কা সাউথ ব্লকের।