দেহের খোঁজে গাজায় চলছে তল্লাশি। — ফাইল চিত্র।
দক্ষিণ গাজ়ায় প্যালেস্টাইনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের কয়েকটি ভূগর্ভস্থ ডেরায় অভিযান চালাল ইজ়রায়েলি সেনা। শুক্রবারের ওই অভিযানে পণবন্দি তিন ইজ়রায়েলি নাগরিকের দেহ মিলেছে। দেহগুলির অবস্থা দেখে অনুমান করা হচ্ছে, বেশ কিছু দিন আগেই তাঁদের খুন করা হয়েছে।
গত ৭ অক্টোবর ইজ়রায়েলের ভূখণ্ডে ঢুকে হামলা চালিয়েছিল হামাস। তারা বহু ইজ়রায়েলি নাগরিককে পণবন্দি হিসাবে গাজ়ায় নিয়ে গিয়েছিল। বন্দি করা হয়েছিল ইজ়রায়েলে থাকা বিদেশিদেরও। কাতারের মধ্যস্থতায় আলোচনার মাধ্যমে তাঁদের অনেককে মুক্তি দিলেও অনেকেই এখনও বন্দি। গাজ়ায় ইজ়রায়েলি সেনার ‘গ্রাউন্ড অপারেশনের’ মুখে তাঁদের মানবঢাল হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে তেল আভিবের অভিযোগ।
ইজ়রায়েলি সেনার তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, উদ্ধার হওয়া তিনটি দেহ শানি লোউক, অ্যামিট বুসকিলা এবং ইতজাক গেলেরেন্টার। ইজ়রায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মুখপাত্র ড্যানিয়েল হগারি জানিয়েছেন, গত ৭ অক্টোবর দক্ষিণ গাজ়া লাগোয়া এলাকায় নোভা উৎসব চলাকালীন ওই তিন জনকে অপহরণ করা হয়েছিল। সম্ভবত সে দিনই তাঁদের হত্যা করে দেহ গাজ়ায় নিয়ে যাওয়া হয়। সে দেশের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু শনিবার বলেন, ‘‘এই ঘটনা হৃদয়বিদারক। সমস্ত পণবন্দিকে আমরা দেশে ফিরিয়ে আনব। যাঁরা জীবিত রয়েছেন এবং যাঁরা মারা গিয়েছেন, সকলকেই।’’
হামাস পরিচালিত গাজ়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রকের খবর, এখনও পর্যন্ত গাজ়া ভূখণ্ডে ইজ়রায়েলি হানায় নিহত হয়েছেন অন্তত ৩৫ হাজার তিনশো মানুষ। গুরুতর ভাবে আহত ৭৯ হাজারেরও বেশি। রাষ্ট্রপুঞ্জের তরফে প্রকাশিত একটি রিপোর্টে জানানো হয়েছে যে ‘সেফ জ়োন’ (সুরক্ষিত এলাকা) বলে পরিচিত রাফায় হামলা শুরুর পর থেকে বিপুল সংখ্যক মানুষ এলাকা ছেড়ে পালাচ্ছেন। গত এক সপ্তাহে রাফা ছেড়ে গিয়েছেন অন্তত সাড়ে ছ’লক্ষ মানুষ। এই এক সপ্তাহে গাজ়া ভূখণ্ডে কোনও মানবিক সহায়তাও পৌঁছয়নি বলে জানানো হয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র তরফে।