রাফা সীমান্তে হাজির গাজ়ার বাসিন্দারা। ছবি: রয়টার্স।
গাজ়ার বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার সুযোগ দিতেই যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়েছে। এমন দাবিকে নস্যাৎ করল ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর দফতর। বেশ কয়েকটি সূত্রে দাবি করা হচ্ছিল যে, ইজ়রায়েল, আমেরিকা এবং মিশর একযোগে হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর এই সিদ্ধান্তের পরই গাজ়ার বাসিন্দাদের পালানোর জন্য রাফা সীমান্ত খুলে দিয়েছে মিশরও। যদিও সে বিষয়েও মিশর কোনও ব্যাখ্যা দেয়নি।
ইজ়রায়েলের এই দাবি যখন বিভিন্ন মহলে ঘুরতে শুরু করেছে, ঠিক সেই সময় তেল আভিভ ঘোষণা করে, এই ধরনের কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। যুদ্ধবিরতিও করা হচ্ছে না। যদিও ইজ়রায়েলের হুঁশিয়ারির পর পরই গাজ়া ছেড়ে দলে দলে পালাচ্ছেন সেখানকার বাসিন্দারা। মিশরে পালানোর চেষ্টায় রাফা সীমান্তে জড়ো হয়েছেন গাজ়ার শয়ে শয়ে মানুষ। ইজ়রায়েলে হামাসের হামলার পর পরই মিশর এবং ইজ়রায়েল তাদের সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে গাজ়ার বাসিন্দাদের সরে যেতে বলা হলেও, দুই সীমান্ত বন্ধ থাকায় পালানোর কোনও উপায় নেই।
এই পরিস্থিতিতে যখন গাজ়ার বাসিন্দারা পালানোর জন্য মরিয়া, ঠিক সেই সময় বিভিন্ন মহলে খবর ছড়িয়ে পড়ে রাফা সীমান্ত খুলে দেওয়া হতে পারে। আর সেই সেই সীমান্ত দিয়ে মিশরে পালানোর জন্য গাজ়ার শয়ে শয়ে মানুষ হাজির হয়েছেন। সেখানে তাঁরা অপেক্ষা করছেন। এমনকি আমেরিকার বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনও জানিয়েছিলেন যে, মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাতাহ এল-সিসির সঙ্গে রাফা সীমান্ত খুলে দেওয়া নিয়ে কথাও হয়েছে। মানবিকতার খাতিরে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে বলে দাবি করেন ব্লিঙ্কেন। তবে রাফা সীমান্ত খোলা হবে কি হবে না, সে বিষয়টিও স্পষ্ট নয়। সিএনএন-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইজ়রায়েলে আমেরিকার রাষ্ট্রদূত জানিয়েছেন, আশা করা হচ্ছে যদি সীমান্তের দরজা খোলা হয় তবে গাজ়ার মানুষদের খুব অল্প সময় দেওয়া হতে পারে।