হামাস বাহিনী। —ছবি : সংগৃহীত
বন্দি বিনিময়ের প্রস্তাব গত সপ্তাহেই খারিজ করে দিয়েছিলেন ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। পরিবর্তে প্যালেস্তিনীয় সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের হাতে পণবন্দি সামরিক এবং অসামরিক ইজ়রায়েলি নাগরিকদের মুক্ত করতে গাজ়া ভূখণ্ডে স্থলপথে সর্বাত্মক অভিযান শুরু করতে সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। সেই অভিযান শুরুর ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পণবন্দি মহিলা সেনাদের সোমবার মুক্তি দিল হামাস।
ইজ়রায়েলি সেনার তরফে সোমবার জানানো হয়েছে, পণবন্দি মহিলা সেনাদের মুক্তি দিয়েছে হামাস। কিন্তু তাঁরা সংখ্যায় কত জন এবং এখনও কত জন সামরিক-অসামরিক ইজ়রায়েলি হামাসের হাতে পণবন্দি রয়েছেন, সে বিষয়ে কিছু জানায়নি ইজ়রায়েল সেনা। পাশাপাশি মহিলা সামরিক পণবন্দিদের মুক্তি দিলেও গাজ়া ভূখণ্ডে ‘গ্রাউন্ড অপারেশন’ চলবে বলে জানিয়েছে তেল আভিভ। প্রসঙ্গত, হামাস শর্ত দিয়েছিল ইজ়রায়েলের কারাগারে বন্দি প্যালেস্তিনীয়দের মুক্তি দিলে তারাও সব পণবন্দি ইজ়রায়েলিদের ছেড়ে দেবে। কিন্তু ওই শর্ত খারিজ করেন নেতানিয়াহু।
গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর থেকেই কার্যত যুদ্ধ শুরু হয়েছে ভূমধ্যসাগরের তীরবর্তী। রকেট হামলার পাশাপাশি ওই দিন হামাসের তরফে ইজ়রায়েলের ভূখণ্ডে প্রবেশ করে হামলা চালানো হয়েছিল। যাতে বহু সামরিক-অসামরিক ইজ়রায়েলি নাগরিক মানুষ নিহত হয়েছিলেন। অনেককে পণবন্দি করে গাজ়ায় নিয়ে গিয়েছিল হামাস। এর পরেই ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন এবং হামাসকে নিশ্চিহ্ন করার হুঁশিয়ারি দেন। এখনও পর্যন্ত ইজ়রায়েলি হামলায় সাত হাজারেরও বেশি প্যালেস্তিনীয় নিহত হয়েছেন। ২৩ লক্ষ মানুষের আবাসভূমি গাজ়ায় ঘরছাড়া ১২ লক্ষেরও বেশি!