হামাসের হাতে খুন শানি লুক। ছবি: সংগৃহীত।
৭ অক্টোবর জার্মান তরুণীকে অপহরণ করে পণবন্দি করেছিল হামাস। গাজ়া থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার করল ইজ়রায়েল সেনা। জার্মান তরুণীর মৃত্যুর খবর সমাজমাধ্যমে জানিয়েছে তাঁর পরিবার। স্বীকার করেছে ইজ়রায়েল সরকার।
মৃতার নাম শানি লুক। ৭ অক্টোবর গাজা সীমান্তের কাছে ইজ়রায়েলে একটি সঙ্গীতানুষ্ঠানে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানেই আচমকা হামলা করে হামাস। শানি-সহ বহু জনকে পণবন্দি করে। এর পরেই সমাজমাধ্যমে ইজরায়েল এবং জার্মান সরকারের কাছে মেয়েকে ছাড়িয়ে আনার আবেদন করেন মা রিকার্ডা লুক। একটি ভিডিয়োতে তাঁকে বলতে শোনা যায়, অচেতন অবস্থায় তাঁর মেয়েকে গাড়িতে চাপিয়ে গাজ়ার দিকে নিয়ে যান প্যালেস্তিনীয়রা। সেই আবেদন ভাইরাল হয়েছিল। আনন্দবাজার অনলাইন সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি।
পরিবারের অভিযোগ, বন্দি করার পর জার্মান তরুণীকে নগ্ন করে ট্রাকে উঠিয়েছিল হামাস। পণবন্দিদের আটক করার একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছিল। সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন। সেই ভিডিয়োতে শানির ট্যাটু দেখে চিনতে পেরেছেন বলে দাবি পরিবারের সদস্যদের। তাতে দেখা যায় উপুড় হয়ে ট্রাকে শুয়ে রয়েছেন শানি। এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে শানির মৃত্যুর কথা জানিয়েছে ইজ়রায়েল। এও জানিয়েছে, তাঁর দেহ শনাক্ত করা হয়েছে। জার্মান সংবাদ মাধ্যম দাবি করেছে, বন্দি করে গাজ়ায় নিয়ে যাওয়ার সময় পালানোর চেষ্টা করেছিলেন শানি। তার পর তাঁকে মারধরও করা হয়েছিল। সেই ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। বন্দি করার আগে অনুষ্ঠানে শানি নাচছেন, সেই ভিডিয়োও প্রকাশ্যে।
গত ৭ অক্টোবর ইজ়রায়েল লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে হামাস। গাজ়া সংলগ্ন ভূখণ্ডে ঢুকে পণবন্দি করে প্রায় ২৩৯ জনকে। হামাসের হামলায় মারা গিয়েছেন প্রায় ১,৪০০ জন। পাল্টা গাজ়ায় হামলা চালায় ইজ়রায়েল সেনা। তাতে মারা গিয়েছেন এখন পর্যন্ত ৮,০০০ জন। তাঁদের অর্ধেকই শিশু।