ইজ়রায়েলের হামলায় ধ্বংস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজ়া। ছবি: রয়টার্স।
আকাশপথে হামলা চালানোর পাশাপাশি এ বার স্থলপথেও হামাসের বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করল ইজ়রায়েলি সেনা। গাজ়ায় ঢুকে ঘরে ঘরে হামাস সদস্যদের তল্লাশি চালাচ্ছে ইজ়রায়েল সেনার বিশেষ দল। ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী শুক্রবারই হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, অপহৃতদের নাম ফেরালে আরও বড় মূল্য চোকানোর জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে হামাসকে। সেই ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা পর থেকেই সীমান্ত পেরিয়ে গাজ়া ভূখণ্ডে ঢুকে জোরদার হামলা শুরু করেছে ইজ়রায়েলি সেনা।
এই অভিযান প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু শনিবার আরও এক বার হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, “সবে তো শুরু। আরও বড় আঘাতের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।” ইজ়রায়েলি সেনার মুখপাত্র জানিয়েছেন, পদাতিক বাহিনী গাজ়া ভূখণ্ডে ঢুকে পড়েছে। ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধী ট্যাঙ্ক বাহিনীকে খুঁজে তাদের খতম করাই ইজ়রায়েলের এই বিশেষ বাহিনীর লক্ষ্য। পাশাপাশি, হামাসের হাতে বন্দি ইজ়রায়েলি নাগরিকদেরও উদ্ধারের কাজ চালাবে ওই দল।
দেশবাসীর উদ্দেশে ইজ়রায়েল প্রধানমন্ত্রীর বার্তা, “আমাদের সেনা সিংহের মতো লড়ছে। তবে এটা সবে শুরু। যে ভাবে আমাদের নাগরিকদের উপর শত্রুরা হামলা চালিয়েছে, যে নৃশংসতা দেখিয়েছে, তা ভুলব না। শত্রুদের এমন জবাব দেব, তা আজীবন মনে রাখবে ওরা।” গাজ়াতে ইজ়রায়েলি সেনা ঢুকে পড়তেই হাজার হাজার মানুষ উত্তর গাজ়া ছেড়ে পালাতে শুরু করেছেন। তাঁরা দক্ষিণ প্রান্তে আশ্রয় নিচ্ছেন। গত ৭ অক্টোবর থেকে হামাস এবং ইজ়রায়েলের সংঘর্ষ চলছে। যত সময় গড়াচ্ছে, তত মৃত্যু এবং আহতের সংখ্যা বাড়ছে। হামাসের হামলায় ইজ়রায়েলে মৃত্যু হয়েছে ১৩০০ জনের। অন্য দিকে, ইজ়রায়েলের প্রত্যাঘাতে গাজ়ায় মৃত্যু হয়েছে ১৯০০ জনের।