গাজ়া ছাড়ার ভিড় প্যালেস্তিনীয় জনতার। ছবি: রয়টার্স।
হাতে সময় আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা। তার পরেই উত্তর এবং মধ্য গাজ়ায় ইজ়রায়েলি স্থলসেনার হামাস-দমন অভিযান শুরু হতে পারে। তেল আভিভের দেওয়া ২৪ ঘণ্টার ‘চরম সময়সীমা’ মেনে প্রায় ২৩ লক্ষ গাজ়াবাসীর অর্ধেকই এখন বিকল্প বাসস্থান খুঁজতে বাড়ি ছেড়ে পথে নেমেছেন।
শুক্রবার ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সরকার ‘চরম সময়সীমা’ ঘোষণার পরেই, গাজ়ার অসামরিক প্যালেস্তিনীয় নাগরিকদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এলাকা ছেড়ে দক্ষিণ প্রান্তে চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়ে বিমান থেকে প্রচারপত্র ফেলতে শুরু করে ইজ়রায়েলি বায়ুসেনা। তার পরেই হামলা এড়াতে বাড়ি ছাড়তে শুরু করেছেন উত্তর এবং মধ্য গাজ়ার বাসিন্দারা। হামাস জঙ্গিদের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক অভিযান শুরুর আগে গাজ়ায় খাবার, জল, বিদ্যুৎ এবং গ্যাসের সরবরাহ বন্ধ করেছে ইজ়রায়েল। এই পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রপুঞ্জ শনিবার এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘‘অবিলম্বে গাজ়ায় মানবিক সাহায্য পৌঁছনো প্রয়োজন।’’
প্যালেস্টাইনের এক সাংবাদিক একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে (আনন্দবাজার অনলাইন সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি)। ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, গাড়ির মাথায় বাক্স, বিছানা চাপিয়ে গাজ়া ছাড়ছেন বহু মানুষ, যাকে এত দিন তাঁরা নিজের ঘর বলে জানতেন। জানা গিয়েছে, গাজ়ার উত্তরে এই ঘটনা হয়েছে। কোথায় যাচ্ছেন তাঁরা, জানা যায়নি।
সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, বৃহস্পতিবার রাতেই ইজ়রায়েলের সেনা রাষ্ট্রপুঞ্জকে জানিয়েছে যে, তারা ২৩ লক্ষ প্যালেস্তিনীয় নাগরিকের আবাসভূমি গাজ়ার অন্তত ১০ লক্ষ মানুষকে সরে যাওয়ার কথা বলেছে। কিন্তু ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তা অসম্ভব বলে প্রকাশ্যে জানিয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জ। কিন্তু প্রাণের ভয়ে গাজ়ার আমজনতা ইতিমধ্যেই ‘পথে নেমেছেন’।
গত ৭ অক্টোবর ইজ়রায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। তার ‘সমুচিত’ জবাব দিতে বদ্ধপরিকর বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু সরকার। তারা জানিয়েছে, গাজ়ার সাধারণ নাগরিককে মানবঢাল করছে হামাস। তাঁদের বাড়িতে লুকিয়ে থাকছে। এই হামাসকে নিকেশ করার জন্য আগামী দিনে যা করা দরকার, সব করা হবে। হামাস বাহিনীকে ‘একঘরে’ করে সেনা অভিযান চালাতে তাই গাজ়াকে অসামরিক জনতা শূন্য করতে চাইছে ইজ়রায়েল।