প্রতীকী ছবি।
আফগানিস্তানের পরে ফের ইরাক। বিদায়ী আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন আমেরিকান সেনার সংখ্যা আরও কমানোর কথা বলার পরেই দু’দেশেই একের পর এক হামলা চালাচ্ছে জঙ্গিরা।
গত কাল কাবুলে রকেট হামলা চালিয়েছে আইএস। আজ ইরাকের রাজধানী বাগদাদের উত্তরে জ়োউইয়া শহরে এক হামলায় ৬ ইরাকি নিরাপত্তারক্ষী ও ৩ জন নাগরিক নিহত হয়েছেন। এখনও কোনও জঙ্গি সংগঠন দায় স্বীকার না করলেও ইরাকি সরকারের দাবি, আইএস-ই এই হামলা চালিয়েছে।
ইরাকি পুলিশ জানিয়েছে, জ়োউইয়া শহরে আজ প্রথমে একটি গাড়িতে বোমা বিস্ফোরণ হয়। পরিস্থিতি সামলাতে পুলিশ ও সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন শিয়া আধাসেনা হাশিদ আল শাবির দল ঘটনাস্থলে পৌঁছলে তাদের উপরে গুলি চালায় জঙ্গিরা। তাতে চার জন আধাসেনা ও ২ জন পুলিশ নিহত হন। জ়োউইয়ার মেয়র মহম্মদ জ়িডান জানিয়েছেন, তিন জন নাগরিকও নিহত হয়েছেন। হামলাকারীদের মধ্যে কেউ নিহত হয়েছে কি না তা নিয়ে এখনও স্পষ্ট নয়। তবে জ়িডানের দাবি, নিহত শিয়া আধাসেনাদের সঙ্গে সুন্নি জনজাতির সদস্যদের দেহও পাওয়া গিয়েছে। ইরাকে সুন্নি জনজাতির একাংশ আইএসের সমর্থক।
গত মঙ্গলবার ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন ঘোষণা করে, ইরাক ও আফগানিস্তান থেকে আরও আমেরিকান সেনা সরানো হবে। আফগানিস্তানে কার্যত অর্ধেক করে দেওয়া হবে আমেরিকান সেনা। সে দিনই ইরাকে রকেট হামলা চালিয়েছিল জঙ্গিরা। গত কাল আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে আছড়ে পড়ে ২৩টি রকেট। কাবুলের গ্রিন জ়োনে রয়েছে দূতাবাস ও আন্তর্জাতিক সংস্থার দফতর। সেই সুরক্ষিত এলাকাকেও নিশানা করে জঙ্গিরা। গত কালের ঘটনার দায় নিয়েছে আইএস।
আমেরিকান সেনা সরানোর ঘোষণার পরেই দু’দেশে একের পর এক হামলা নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। ২০১৪ সালে ইরাকের বড় অংশই দখল করেছিল আইএস। মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের সঙ্গে বছর তিনেক তাদের লড়াই চলার পরে ২০১৭ সালে ইরাকি সরকার ঘোষণা করে, আইএস পরাজিত হয়েছে। কিন্তু তার পরেও আইএস জঙ্গিরা নিরাপত্তা বাহিনী ও ইরাকি সরকারের উপরে বিচ্ছিন্ন হামলা চালিয়ে গিয়েছে। বৃহস্পতিবার আমেরিকান মিডল ইস্ট কমান্ডের কমান্ডার কেনেথ ম্যাকেঞ্জি অবশ্য জানিয়েছেন, ইরাক-সিরিয়ায় এখনও বিপজ্জনক শক্তি আইএস। তাই আমেরিকান বাহিনী ইরাকি সরকারের সঙ্গে হাত মিলিয়ে এই সংগঠনের বিরুদ্ধে লড়বে।