ছবি: সংগৃহীত।
করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুর নিরিখে এই মুহূর্তে তালিকার শীর্ষে আমেরিকা। এ দিকে লকডাউনের জেরে গত কয়েক মাসে থমকে গিয়েছে দেশের অর্থনীতি। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে বেকারত্ব। পরিস্থিতির সামাল দিতে প্রেসি়ডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন তাই এ বার এইচ-১বি-সহ বিদেশি কর্মপ্রার্থীদের জন্য সব ধরনের ভিসার অনুমোদন আপাতত বন্ধ রাখার কথা ভাবছে বলে কাল জানিয়েছে আমেরিকার প্রথম সারির একটি দৈনিক।
তবে এর ফলে আমেরিকায় কর্মরত ভারতীয় বা অন্য দেশের নাগরিকদের কোনও বিপদে পড়তে হবে না বলে জানিয়েছে দৈনিকটি। হোয়াইট হাউস কিছু স্পষ্ট করেনি। আবার অস্বীকারও করেনি। তাই ট্রাম্পের এই ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতি ঘিরে চিন্তা বাড়ছেই। বিশেষত এইচ-১বি ভিসায় মার্কিন মুলুকে কাজ করতে চাওয়া ভারতীয় তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীদের একটা বড় অংশের। ওই ভিসায় আমেরিকায় কর্মরত বিদেশিদের বেশির ভাগই ভারত ও চিনের। অনেকেই বলছেন, নভেম্বরে ভোটের কথা মাথায় রেখেই এই পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভাবছেন ট্রাম্প।
১ অক্টোবর থেকে নতুন অর্থবর্ষ শুরু হয় আমেরিকায়। সংবাদমাধ্যমটির দাবি, আগামী অর্থবর্ষের পুরোটা জুড়ে এই স্থগিতাদেশ জারি রাখার কথা ভাবছে ট্রাম্প প্রশাসন। এইচ-১বি-র পাশাপাশি কোপ পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে এইচ-২বি, জে-১, এল-১-এ মতো স্বল্পমেয়াদি কাজের ভিসাতেও। লকডাউনের জেরে এইচ-১বি ভিসা হাতে থাকা সত্ত্বেও সম্প্রতি আমেরিকায় কাজ খুইয়েছেন বহু ভারতীয় তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী। তাঁদের অনেকেই বাধ্য হয়েছেন আমেরিকা ছাড়তে। ট্রাম্প প্রশাসন এ বার ভিসা দেওয়া বন্ধ করলে, এঁদের আমেরিকায় ফেরা কঠিন হবে বলেই মনে করছেন অনেকে। যাঁরা কর্মরত, তাঁদের ভিসার মেয়াদ বাড়ানো হবে কি না, তা নিয়েও অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘মানচিত্র বদলাব না’, ভারতের আপত্তি উড়িয়ে ফের জানিয়ে দিল নেপাল
আরও পড়ুন: পটভূমি কলকাতা, প্রথম উপন্যাসেই আমেরিকা মাতাচ্ছেন এই বাঙালি মেয়ে
সরকারি ভাবে অবশ্য সম্ভাব্য এই পদক্ষেপের কথা একেবারেই খোলসা করেনি ট্রাম্প প্রশাসন। জল্পনার জবাবে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র হোগান গিডলে শুধু বলেন, ‘‘সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসার প্রয়োজনে অনেক বিকল্প নিয়েই চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। মার্কিন নাগরিকদের স্বার্থরক্ষাই আমাদের অগ্রাধিকার। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনও কিছুই হয়নি।’’
এ দিকে, নভেম্বরের নির্বাচনে জেতার জন্য কারচুপির চেষ্টা করতে পারেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, এক টিভি সাক্ষাৎকারে এমনটাই দাবি করলেন ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী তথা ট্রাম্পের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী জো বাইডেন। জবাবে হোয়াইট হাউস এই মন্তব্যকে ‘ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব’ বলে উড়িয়ে দিয়েছে।