ছবি: রয়টার্স।
দীর্ঘ ৩৯ বছর! ১৯৭৯ সালের পরে এই প্রথম ইরানের কোনও ফুটবল স্টেডিয়ামে শোনা গেল মহিলা কণ্ঠের উল্লাস। হিজাব পরনে তরুণী ওড়ালেন দেশের পতাকা।
গত বুধবার বিশ্বকাপ ফুটবলের স্পেন বনাম ইরান ম্যাচ ছিল। ওই দিন সকালে হঠাৎই সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়, মহিলারা তেহরানের আজ়াদি স্টেডিয়ামে ম্যাচের সরাসরি সম্প্রচার দেখতে পারবেন। চাইলে সপরিবারেও যেতে পারেন। এর পরেই হইচই পড়ে যায়। মেয়েরা লাইন দেন স্টেডিয়ামের বাইরে।
যদিও এত সহজে প্রবেশাধিকার মেলেনি। সরকারি ঘোষণার পরেও স্টেডিয়ামের ‘পরিকাঠামোগত সমস্যা’ দেখিয়ে বেঁকে বসেন নিরাপত্তারক্ষীরা। জানান, ওই সরকারি নির্দেশিকা বাতিল হয়ে গিয়েছে। স্টেডিয়ামের বাইরে ধর্নায় বসেন মেয়েরা। ‘#আজ়াদি’ নামে বিক্ষোভের ভিডিয়ো ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। এক ঘণ্টায় ২ হাজার পোস্ট পড়ে। শেষে পরিস্থিতি সামলাতে তড়িঘড়ি বিশেষ নির্দেশিকা জারি করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দোলরেজ়া রহমানি-ফাজ়িল। স্টেডিয়ামে ঢোকেন মহিলারা।
মে মাসেও পাঁচ মহিলা আজ়াদি স্টেডিয়ামে ঢুকেছিলেন। কিন্তু ছদ্মবেশে। যদিও মেয়েদের খেলা দেখা নিয়ে কোনও কালেই কোনও সরকারি নিষেধাজ্ঞা নেই ইরানে। কিন্তু রক্ষণশীল দেশটিতে ধর্মপুলিশেরা অলিখিত নিয়ম জারি করে রেখেছে। খেলা দেখার ‘অপরাধে’ বহু বার শাস্তি পেতে হয়েছে মেয়েদের। গত মার্চেই ৩৫ জন মহিলাকে আটক করা হয়েছিল ফুটবল ম্যাচ দেখার ‘অপরাধে’। এ বারে অবশ্য অগ্রিম জানানো হয়েছে, সোমবার পর্তুগালের বিরুদ্ধে ইরানের পরের ম্যাচেও মেয়েদের বাধা দেওয়া হবে না।
বুধবার স্টেডিয়ামে দেশের পতাকা ওড়ান মেয়েরা। নিজস্বীতে মাতেন। সে ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টও করেন তাঁরা। এমনই ছবি টুইট করেছে ইরানের ফুটবল দলও।