Hijab Controversy

হিজাব না পরায় ইরানে হেনস্থা দুই মহিলাকে

তাঁরা কেন হিজাব পরেননি তা নিয়ে ওই দু’জনের সঙ্গে বাক্‌যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন অভিযুক্ত ব্যক্তি। কথা কাটাকাটি থামতে না থামতেই হঠাৎ দোকানে রাখা এক বালতি দই ওই দু’জনের মাথার উপর থেকে ঢেলে দেন তিনি!

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

তেহরান শেষ আপডেট: ০৩ এপ্রিল ২০২৩ ০৮:১৩
Share:

কেন হিজাব পরেননি তা নিয়ে ওই দু’জনের সঙ্গে বাক্‌যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন অভিযুক্ত ব্যক্তি। প্রতীকী ছবি।

মাথায় নেই হিজাব। সেই আক্রোশে দুই মহিলার মাথার উপর এক বালতি দই ঢেলে দিলেন এক ব্যক্তি!

Advertisement

ইরানের উত্তরপূর্বের মাশাদ শহরের এই ঘটনার ভিডিয়ো ভাইরাল হওয়ার পরেই হইচই পড়ে যায় সমাজমাধ্যমে। তবে সবচেয়ে বেশি নজর কেড়েছে এই ঘটনা প্রসঙ্গে দেশের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রইসির মন্তব্য। যা ঘিরে তৈরি হয়েছে নতুন বিতর্ক। ওই অপরাধ দমন করা নিয়ে সরাসরি কোনও মন্তব্য করেননি তিনি। বরং হিজাব আইনের পক্ষ নিয়ে প্রকারান্তরে অভিযুক্তের পাশে দাঁড়িয়ে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘‘কেউ যদি বলেন যে তিনি হিজাবে বিশ্বাসী নন... তা হলে জোর খাটানো ভাল... হিজাব এ দেশে একটি আইনি বাধ্যতা... একটি আইনি বিষয়।’’

এই ঘটনায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে যেমন গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে, তেমন আবার গ্রেফতারির কাঁটা ঝুলছে ওই দুই মহিলার উপরেও। কারণ, তাঁরা ইরানের কড়া ‘পরিধান রীতি’ লঙ্ঘন করেছেন!

Advertisement

ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, দোকানে দাঁড়িয়ে রয়েছেন দুই মহিলা। সংবাদ সংস্থা সূত্রের খবর, তাঁরা সম্পর্কে মা এবং মেয়ে। দেখা যাচ্ছে, প্রথমে তাঁরা কেন হিজাব পরেননি তা নিয়ে ওই দু’জনের সঙ্গে বাক্‌যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন অভিযুক্ত ব্যক্তি। কথা কাটাকাটি থামতে না থামতেই হঠাৎ দোকানে রাখা এক বালতি দই ওই দু’জনের মাথার উপর থেকে ঢেলে দেন তিনি!

সঙ্গে সঙ্গে ওই ব্যক্তিকে আটকাতে এগিয়ে আসেন দোকান মালিক। তবে ওই ব্যক্তিকে আটকানোর ‘অপরাধে’ দোকান মালিককেই শাসিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। প্রথমে তাঁর দোকানটিই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল, পরে অবশ্য খুলে দেওয়া হয়। কিন্তু তাঁকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তিকে কেন আটকেছিলেন, তা আদালতে গিয়ে বলে আসতে হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement