ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট।
ভারত ও নেপালের মধ্যে যাতায়াত এবং বাণিজ্যিক সম্পর্ক বাড়াতে দ্বিতীয় ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট (আইসিপি) খুলে দেওয়া হল। দু’দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কে পি শর্মা ওলি আজ ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে যোগবাণী-বিরাটনগর সীমান্তে এই আইসিপি-র উদ্বোধন করেন। প্রথম আইসিপি-টি চালু হয়েছে ২০১৮ সালে, রক্সৌল-বীরগঞ্জ সীমান্তে।
যোগবাণী-বিরাটনগর সীমান্তে এই আধুনিক চেকপোস্ট তৈরি হয়েছে ১৪০ কোটি টাকায়। যার পুরোটাই জুগিয়েছে ভারত। ২৬০ একর জমি নিয়ে এই চেকপোস্ট দিয়ে অনায়াসে ৫০০টি ট্রাক একসঙ্গে যাতায়াত করতে পারবে। দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য এতে এক ধাপে অনেকটাই বেড়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
ওলির সঙ্গে ভিডিয়ো আলোচনায় প্রতিবেশী রাষ্ট্রকে অগ্রাধিকার দেওয়ার ক্ষেত্রে তাঁর পুরনো নীতিকেই আবার সামনে নিয়ে এসেছেন মোদী। নেপালের সঙ্গে ঐতিহ্য ও সভ্যতাগত সম্পর্কের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘‘প্রতিবেশী নীতিতে নেপালকে তাঁর সরকার সর্বদা গুরুত্ব দিয়ে এসেছে।’’ ওলি তাঁকে নেপাল সফরের জন্য আমন্ত্রণ জানান। মোদী জানান, চলতি বছরেই নেপালে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি। ২০১৫ সালে নেপালে ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর ভারতের সহায়তায় সে দেশে আবাসন প্রকল্প শুরু হয়েছিল। তার অগ্রগতি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন মোদী। গোর্খা এবং নুওয়াকত জেলায় যথাক্রমে ৫০ এবং ৪৫ হাজার নতুন বাড়ি ইতিমধ্যেই তৈরি হয়ে গিয়েছে।
কূটনীতির লোকজন মনে করছেন, অধিকাংশ প্রতিবেশী রাষ্ট্রের মতোই নেপালের সঙ্গেও ভারতের সম্পর্ক আর মধুর নয় তেমন। চিন তার মহাযোগাযোগ প্রকল্প ওবর-এর মাধ্যমে পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, মলদ্বীপের পাশাপাশি নেপালের সঙ্গেও সম্পর্ক, অংশীদারি বাড়াচ্ছে। নেপালও যে বাণিজ্যের প্রশ্নে শুধু ভারত-নির্ভর হয়ে থাকতে চাইছে না, সেটা ক্রমশ স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। সে দিক দিয়ে দেখলে গত অক্টোবরে চিনের প্রেসিডেন্ট শি চিনফিংয়ের কাঠমান্ডু সফর ছিল যথেষ্ট অর্থবহ এবং প্রতীকী।
এমনকি শুধু চিনই নয়, আমেরিকা-সহ বেশ কিছু শক্তিশালী দেশও নেপাল নিয়ে আগ্রহ দেখাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে আগামী দিনে নেপালের ব্যাপারে ভারতকে আগের চেয়ে বেশি মনোযোগী হতে দেখা যাবে বলেই মনে করছেন কূটনীতিকরা।