ফাইল চিত্র।
ওমিক্রনের জেরে টানা ছ’সপ্তাহ ধরে দক্ষিণ আফ্রিকায় ঝড়ের গতিতে বাড়তে থাকা করোনা সংক্রমণের রেখচিত্র এই প্রথম নিম্নমুখী। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) জানিয়েছে, দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনার চতুর্থ ঢেউয়ের গতি এ বার কমছে। হু-এর মতে, অন্য ঢেউগুলির তুলনায় চতুর্থ ঢেউ দ্রুত সংক্রমণের শিখর ছুঁয়েছে। আবার রেখচিত্র নামতেও শুরু করেছে তাড়াতাড়ি। তবে কোনও অংশে এটিকে আগের স্ট্রেনগুলির তুলনায় কম ঝুঁকিবহুল বলা যায় না।
গত বছর নভেম্বরের শেষে দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম খোঁজ মিলেছিল করোনাভাইরাসের ওমিক্রন স্ট্রেনের। ২৬ নভেম্বর ওমিক্রনকে ‘ভেরিয়েন্ট অব কনসার্ন’-এর তালিকাভুক্ত করেছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। মাস তিনেকের মধ্যে তাবড় বিজ্ঞানীকুল ও চিকিৎসকদের আশঙ্কা সত্যি করে তা ছড়িয়ে পড়ে অধিকাংশ দেশে। ওমিক্রনের প্রভাবে সমস্ত দেশেই ফের আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। তথ্য বলছে, গত তিন মাসে গুরুতর রোগীর সংখ্যা আগের তুলনায় বেড়েছে বটে তবে বেশির ভাগে দেশেই পরিস্থিতি এখনও নাগালের মধ্যে।
এখনও পর্যন্ত সংক্রমণের শীর্ষে রয়েছে আমেরিকা। সম্প্রতি কর্মক্ষেত্রে করোনা রুখতে বেশ কিছু নির্দেশিকা জারি করেছিল জো বাইডেন প্রশাসন। তার মধ্যে একটি ছিল, ১০০ জনের বেশি কর্মী রয়েছে যে সমস্ত সংস্থায়, সেখানে হয় টিকাকরণ আবশ্যক করতে হবে অথবা প্রতি সপ্তাহে করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট জমা করতে হবে কর্মীদের। কিন্তু এই নির্দেশিকার বিরুদ্ধে রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। শুধুমাত্র সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের ক্ষেত্রে এই নিয়ম চালু করা যাবে বলে কোর্ট জানিয়েছে। আদালতের এই রায়ে কার্যত হতাশা প্রকাশ করেছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি বলেছেন, ‘‘ব্যবসায়িক ক্ষেত্রগুলিতে কর্মীদের জীবন বাঁচাতে যে সাধারণ পদক্ষেপগুলির কথা ভেবেছিলাম সুপ্রিম কোর্ট তার বিরুদ্ধে মত পোষণ করায় আমি হতাশ।’’ কর্মীদের প্রতি তাঁর আর্জি, ‘ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যা ঠিক মনে হয় তাই করুন।’