ধ্বংসাবশেষের টুকরো হাতে স্থানীয়রা। ছবি: টুইটার থেকে সংগৃহীত।
উড়ানের কয়েক মিনিটের মধ্যেই সমুদ্রে ভেঙে পড়ল ইন্দোনেশিয়ার একটি যাত্রীবাহী বিমান। দেশের রাজধানী জাকার্তার উত্তর-পশ্চিমে জাভা সাগরেইয়ে বিমানটি ভেঙে পড়েছে বলে জানা গিয়েছে। সেখানকার থাউজ্যান্ড আইল্যান্ডস এলাকায় জলের মধ্যে থেকে বিমানটির ধ্বংসাবশেষের টুকরো উদ্ধার হয়েছে বলে জানিয়েছে ইন্দোনেশিয়ার ন্যাশনাল সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ এজেন্সি। বিমানের মূল অংশটি জলের নীচে তলিয়ে গিয়েছে বলে সন্দেহ। তাই যাত্রী এবং বিমানকর্মীদের মধ্যে কেউই বেঁচে নেই বলে আশঙ্কা।
শনিবার দুপুরে জাকার্তার সোকরানো-হাত্তা বিমানবন্দর থেকে পোনতিয়ানাকের উদ্দেশে রওনা দেয় শ্রীবিজয়া এয়ারলাইন্সের এসজে ১৮২ নম্বর বিমানটি। পাইলট, সহকারী এবং বিমানকর্মী মিলিয়ে তাতে ৬২ জন যাত্রী ছিলেন, যার মধ্যে ছিল ৬ শিশু। শিশুদের মধ্যে আবার একজন সদ্যোজাত। বিমানবন্দর থেকে উড়ানের ৪ মিনিটের মধ্যেই বিমানটির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় কন্ট্রোল রুমের।
ফ্লাইট ট্র্যাকার ওয়েবসাইট FlightRadar24 জানিয়েছে, উড়ানের পর সোজা ১০ হাজার ৯০০ ফুট উপরে উঠে যায় বিমানটি। কিন্তু মাত্র ১ মিনিটের মধ্যে সেখান থেকে প্রায় ১০ হাজার ফুট নেমে আসে। সেই অবস্থাতে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, নিখোঁজ বিমানটি বোয়িং ৭৩৭-৫০০ সিরিজের। ২৬ বছর ধরে যাত্রী পরিবহণে সেটি ব্যবহার করা হচ্ছিল।
আরও পড়ুন: ৬ শিশু-সহ ৫৯ যাত্রী নিয়ে মাঝ আকাশে উধাও বিমান, মিলল ধ্বংসাবশেষ
আরও পড়ুন: টুইটারে নিষিদ্ধ হয়ে নিজেই সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম গড়তে চান ট্রাম্প
নিরাপত্তার দিক থেকে ইন্দোনেশিয়ার বিমান পরিবহণ ব্যবস্থা নিয়ে বরাবরই উদ্বেগ ধরা পড়েছে। ২০১৮ সালে এই জাভা সাগরেই ভেঙে পড়ে লায়ন এয়ার ফ্লাইট ৬১০। তাতে ১৮৯ জন যাত্রী ছিলেন। সে বার ৭৩৭ ম্যাক্স জেটলাইনার অ্যান্টিস্টল প্রযুক্তি বিকল হয়ে যাওয়াতেই বিমানটি ভেঙে পড়ে। ২০১৯ সালের মার্চে ৭৩৭ ম্যাক্সের আর একটি বিমান ইথিওপিয়ায় ভেঙে পড়ে। শনিবারের দুর্ঘটনার পিছনে কী কারণ ছিল, তা এখনও জানা যায়নি। তবে উড়ানের সময় জাকার্তায় বৃষ্টি হচ্ছিল। আবহাওয়ার কারণেই বিমানটি ভেঙে পড়েছে কি না খতিয়ে দেখা হচ্ছে।