প্রতীকী ছবি। শাটারস্টকের সৌজন্যে।
ভারত যদি চিনের হুয়ায়েই টেকনোলজিসকে ব্যবসা করতে না দেয়, তা হলে চিনও সে দেশে ভারতীয় সংস্থাগুলিকে ব্যবসা করতে দেবে না। বেজিংয়ে ভারতের রাষ্ট্রদূত বিক্রম মিসরিকে চিনা বিদেশ মন্ত্রকের কার্যালয়ে ডেকে এ কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে দিল্লির কূটনৈতিক মহলের খবর।
কয়েক মাসের মধ্যেই ফাইভ-জি সেলুলার নেটওয়ার্ক বসানোর ট্রায়াল শুরু হওয়ার কথা ভারতে। এই প্রযুক্তিতে বিশ্বে যারা এক নম্বর, সেই চিনা সংস্থা হুয়ায়েই টেকনোলজিসের সঙ্গে এ ব্যাপারে এখনও পর্যন্ত যোগাযোগ করা হয়নি বলে জানিয়েছেন টেলিকম মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ।
কেন ভাবা হয়নি হুয়ায়েই টেকনোলজিসের কথা, টেলিকম মন্ত্রী সেটা সরাসরি না বললেও, দিল্লির কূটনৈতিক মহলের খবর, চিন ও আমেরিকার মধ্যে যে বাণিজ্য যুদ্ধ চলছে, এটা তারই পরিণতি। ফাইভ-জি সেলুলার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে চিনা সংস্থাটি গুপ্তচরবৃত্তি করছে, এই অভিযোগে গত মে মাসে সংস্থাটিকে কালো তালিকাভুক্ত করে আমেরিকা। শুধু তাই নয়, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের তরফে তার মিত্র দেশগুলিকে বলা হয়, ওই সংস্থাটিকে যেন সেই সব দেশে ব্যবসা না করতে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন- মানস সরোবর যাত্রীদের ভিসা দেয়নি চিন, বিপাকে বহু পুণ্যার্থী
আরও পড়ুন- লাদাখ নিয়ে চিনের আপত্তি ওড়াল ভারত
ভারত যাতে আমেরিকার কথা শুনে সেখানেও ওই চিনা সংস্থাটির ব্যবসা বন্ধ করে না দেয়, তা বোঝানোর জন্য চিনা বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জুলাইয়ে বেজিংয়ে ডেকে পাঠানো হয় ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে। বলা হয়, সে ক্ষেত্রে ভারতীয় সংস্থাগুলির ব্যবসার উপরেও ‘পাল্টা নিষেধাজ্ঞা’ জারি করা হবে চিনে।
তবে চিন বা ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে এখনও পর্যন্ত সরকারি ভাবে এ ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।