—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
ভারতীয়দের ভিসা ছাড়াই ঢুকতে দেবে মালয়েশিয়া। রবিবার রাতে এই ঘোষণাটি করেছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনওয়ার ইব্রাহিম। কত দিনের জন্য ভারতীয়দের ভিসা ছাড়া প্রবেশের সুযোগ দিচ্ছে দেশটি, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে ‘অফার’ শুরু হচ্ছে ১ ডিসেম্বর থেকে।
মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, ভিসা ছাড়া ভারতীয়েরা মালয়েশিয়ায় ঢুকতে পারবেন। থাকতে পারবেন সর্বাধিক এক মাস। তার বেশি মালয়েশিয়ায় থাকতে হলে ভিসা প্রয়োজন হবে। শুধু ভারত নয়, চিনের জন্যেও একই ‘অফার’ ঘোষণা করেছে মালয়েশিয়া। ১ ডিসেম্বর থেকে চিনা নাগরিকেরাও ওই দেশে ভিসা ছাড়া প্রবেশ করতে পারবেন এবং এক মাস থাকতে পারবেন।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যতম বিখ্যাত পর্যটনকেন্দ্র মালয়েশিয়া। এই দেশে প্রতি বছর প্রচুর বিদেশি পর্যটক যান। ভারতীয় পর্যটকদের বিদেশে ঘুরতে যাওয়ার অন্যতম সেরা ঠিকানা মালয়েশিয়া। দেশটির আর্থিক উপার্জন অনেকাংশেই নির্ভর করে পর্যটনশিল্পের উপরে। চিন এবং ভারত সেই উপার্জনের অন্যতম বড় উৎস। পরিসংখ্যান বলছে, মালয়েশিয়ার পর্যটনকেন্দ্রিক বিদেশি মুদ্রা আয়ের উৎসের তালিকায় চিন এবং ভারত রয়েছে যথাক্রমে চতুর্থ এবং পঞ্চম স্থানে।
কোভিড অতিমারির পর থেকে বিদেশে ঘুরতে যাওয়া অনেক কমে গিয়েছে। পর্যটনে মন্দার মুখোমুখি হয়েছে মালয়েশিয়াও। মনে করা হচ্ছে, সেই কারণেই পর্যটক টানতে ভিসা ছাড়া ভ্রমণের সুযোগ দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী ইব্রাহিম।
সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মালয়েশিয়ায় চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন মাসের মধ্যে মোট ৯১ লক্ষ ৬০ হাজার বিদেশি পর্যটক ঘুরতে গিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন চিনের ৪,৯৮,৫৪০ জন পর্যটক। এ ছাড়া, ভারত থেকে ওই সময়ের মধ্যে মালয়েশিয়া গিয়েছেন ২,৮৩,৮৮৫ জন।
কিন্তু এই সংখ্যা নিতান্তই কম। কারণ, ২০১৯ সালের পরিসংখ্যান অন্য কথা বলছে। ওই বছর একই সময়ে মালয়েশিয়ায় চিনা পর্যটকের সংখ্যা ছিল সাড়ে ১০ লক্ষের বেশি। ভারত থেকে ঘুরতে গিয়েছিলেন সাড়ে তিন লক্ষের বেশি মানুষ। পর্যটকের সংখ্যায় এমন ঘাটতি দেখেই মালয়েশিয়া সরকার উদ্যোগী হয়েছে।
পর্যটক টানতে মালয়েশিয়ার পথেই হেঁটেছে তার প্রতিবেশী তাইল্যান্ড। সেখানেও ভারতীয়দের বিনামূল্যে ভিসা দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। তাইল্যান্ড সরকার জানিয়েছে, চলতি বছরের ১০ নভেম্বর থেকে ২০২৪ সালের ১০ মে পর্যন্ত বিনা খরচে ভিসা পাবেন ভারতীয়েরা।