(বাঁ দিকে) ইজ়রায়েলে যুদ্ধের ধ্বংসস্তূপ। চার বছরের আমেরিকান-ইজ়রায়েলি শিশু কন্যা (ডান দিকে)। ছবি: রয়টার্স।
চার বছর বয়সি আমেরিকান শিশুকন্যাকে মুক্তি দিল প্যালেস্টাইনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। ওই শিশুর বাবা-মা হামাসের হাতেই খুন হয়েছেন বলে অভিযোগ। তার পর শিশুটিকে পণবন্দি হিসাবে তারা নিয়ে গিয়েছিল। রবিবার বন্দিমুক্তির তৃতীয় দফায় মুক্তি পেয়েছে ওই শিশু। আনুষ্ঠানিক ভাবে তার মুক্তির কথা ঘোষণা করেছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
রবিবার হামাসের তৃতীয় দফার বন্দিমুক্তির পর একটি সাংবাদিক সম্মেলন করেন বাইডেন। সেখানেই তিনি বাবা, মাকে হারানো চার বছরের শিশুর মুক্তির কথা জানান। সেই সঙ্গে শিশুটির যে পরিস্থিতিতে পড়ল, তার জন্য দুঃখপ্রকাশও করেন। বাইডেন বলেন, ‘‘ওই শিশু যে পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে গিয়েছে, তা অভাবনীয়।’’ একই সঙ্গে আগামী দিনে আরও আমেরিকান পণবন্দিকে হামাসের হাত থেকে মুক্ত করানো যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।
আমেরিকান বংশোদ্ভূত ওই শিশুর নাম অ্যাবিগেইল এডান। বাবা এবং মায়ের সঙ্গে ইজ়রায়েলে থাকত সে। গত ৭ অক্টোবর ইজ়রায়েলের ভূখণ্ডে ঢুকে হামাস যে হামলা চালায়, তাতেই মৃত্যু হয় এডানের বাবা, মায়ের। চোখের সামনেই প্রিয়জনদের মৃত্যু দেখে চার বছরের শিশু। এর পর তাকে পণবন্দি হিসাবে তুলে নিয়ে যায় হামাস। রবিবার প্রায় দেড় মাসের বেশি সময় বন্দি থাকার পর মুক্তি পেল সে।
ইজ়রায়েল এবং হামাসের যুদ্ধে গত তিন দিন ধরে ‘বিরতি’ চলছে। এই সময়ের মধ্যে ইজ়রায়েল এবং হামাস উভয়পক্ষই কিছু কিছু করে বন্দিদের মুক্তি দিচ্ছে। রবিবার তৃতীয় দফায় মোট ১৭ জনকে ছেড়েছে হামাস। তাঁদের মধ্যে ১৩ জন ইজ়রায়েলি নাগরিক। এ ছাড়া, তিন জন তাইল্যান্ড এবং এক জন রাশিয়ার বাসিন্দাও ছিলেন। তাঁরা ইজ়রায়েলে প্রবাসী হিসাবে থাকছিলেন। এর পাশাপাশি ইজ়রায়েল রবিবার ৩৯ জন প্যালেস্টাইনি বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে।
যুদ্ধরত দুই পক্ষের মধ্যে মধ্যস্থতাকারীর কাজ করছে নিরপেক্ষ কাতার। তাদের প্রতিনিধিদের মাধ্যমেই ইজ়রায়েল এবং হামাস একে অপরের কাছে নিজেদের বক্তব্য পৌঁছে দিচ্ছে। মুক্তি পাওয়া বন্দিদের গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার কাজ করছে আন্তর্জাতিক মানবিক সংগঠন ‘রেড ক্রস’। রবিবার তাদের গাড়িতেই ১৩ জন ইজ়রায়েলি মিশর হয়ে দেশে ফিরেছেন।