যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন। —ফাইল চিত্র।
যুদ্ধ চলছে। বাড়ছে ক্ষোভও। ইউক্রেনবাসীর রোষের মুখে এ বার পড়লেন ভারতীয় পড়ুয়ারা। ‘‘নিজের দেশে ফিরে যান’’, ইউক্রেনবাসীদের কাছ থেকে রোজ এ কথাই শুনতে হচ্ছে ভারতীয় পড়ুয়াদের। গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে রাশিয়ার সঙ্গে সে দেশের যুদ্ধ চলছে। সে দেশে চরম দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে ভারতীয় পড়ুয়াদের। প্রতিনিয়ত তাড়া করে বেড়াচ্ছে আতঙ্ক। রাশিয়ার মিত্র দেশ ভারত—এই কারণেই দিন দিন ইউক্রেনে দুর্ভোগ বাড়ছে বলে দাবি করেছেন ভারতীয় পড়ুয়াদের একাংশ।
পড়াশোনা শেষ করতে অনেক ভারতীয় পড়ুয়াই যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনে ফিরে যেতে বাধ্য হয়েছেন। তাঁদের একাংশের দাবি, ইউক্রেনের বহু নাগরিকই তাঁদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করছেন। এই প্রসঙ্গে ‘দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়া’কে এক পড়ুয়া বলেছেন, ‘‘আমাদের দেশ ছেড়ে চলে যেতে বলছেন স্থানীয়রা। গত আট সপ্তাহ ধরে পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হয়েছে।’’
যুদ্ধের কারণে ২০২২ সালে ইউক্রেন থেকে প্রায় ১৮ হাজার পড়ুয়াকে সরানো হয়েছে। ওই পড়ুয়ারা আশা করেছিলেন, ভারতীয় বা কোনও বিদেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা শেষ করবেন। কিন্তু সেটা হয়নি বলে দাবি। চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে আরও ৩ হাজার ৪০০ পড়ুয়া পড়াশোনা শেষ করতে ইউক্রেনে ফিরে গিয়েছেন। মধ্যপ্রদেশের এক পড়ুয়ার কথায়, ‘‘ন্যাশনাল মেডিক্যাল কাউন্সিলের নির্দেশিকা অনুযায়ী ২০২১ সালের ডিসেম্বরের পর যাঁরা বিদেশে পড়াশোনা শুরু করেছেন, তাঁরা অন্য কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থানান্তরিত হতে পারবেন না। সেই কারণেই আমি এবং আমার মতো অনেক পড়ুয়াই ইউক্রেনে ফিরে গিয়েছি।’’
আর এক পড়ুয়ার কথায়, ‘‘ইউক্রেনের স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, ‘তোমরা ভারতীয়রা রাশিয়ার ভাল বন্ধু। আমাদের দেশ থেকে চলে যাও।’’ অন্য এক পড়ুয়ার দাবি, ইউক্রেনের কয়েকটি দোকানে কোনও কিছু কিনতে পর্যন্ত দেওয়া হচ্ছে না ভারতীয়দের। তাঁদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ।এক পড়ুয়া বলেছেন, ‘‘অনেক সময় জল সরবরাহ করতে দেওয়া হচ্ছে না। বিদ্যুৎ পরিষেবা বিচ্ছিন্ন করা হচ্ছে। কী ভাবে আমরা বাঁচব? আমরা আতঙ্কে রয়েছে। ভারতে আমাদের পরিবারও ভয়ে কাঁটা।’’